সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম অশ্বেতাঙ্গ হিসাবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। ব্রিটেনের সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে থেকে একজন প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন, এই প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছে বিরোধী দলগুলি। মেহবুবা মুফতি থেকে পি চিদম্বরম সকলেই বলেছেন, বিশ্বের অন্যতম প্রধান দেশগুলি সংখ্যালঘুদের সরকারের শীর্ষপদে বসাচ্ছে। সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ভারতের। তবে পালটা দিয়েছে বিজেপিও। সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে বিরোধী দলগুলি, বলেছেন লোকসভা সাংসদ রবিশংকর প্রসাদ (Ravishankar Prasad)।
ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খবর পেয়েই টুইট করেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti)। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, “প্রথমবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি। গোটা দেশ এই ঘটনা উদযাপন করছে। আমাদের সকলের মনে রাখা দরকার, একজন সংখ্যালঘু ব্যক্তিকেই প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে বেছে নিল ব্রিটেন। অন্যদিকে ভারত এখনও NRC ও CAAর মতো আইনের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিভেদ ছড়াচ্ছে। বৈষম্যের জালে আবদ্ধ হয়ে রয়েছি আমরা।”
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে মঠের মধ্যেই আত্মহত্যা লিঙ্গায়েত ধর্মগুরুর! উদ্ধার দু’পাতার সুইসাইড নোট]
এই কথার সুর টেনেই টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম (P Chidambaram)। টুইটে তিনি লিখেছেন, “কমলা হ্যারিসের পর ঋষি সুনাক। আমেরিকা ও ব্রিটেনের মানুষ সংখ্যালঘুদের আপন করে নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ পদগুলিতে বসিয়েছে। আমার মনে হয়, এই ঘটনাগুলি থেকে ভারতীয় রাজনৈতিক দলগুলির শিক্ষা নেওয়া দরকার। সংখ্যাগুরুবাদের পক্ষে যারা সওয়াল করে, তাদের এই বিষয়গুলি মাথায় রাখা উচিত।”
নাম না করে বিজেপিকে বিঁধেছেন দুই নেতাই। সেই জন্য পালটা দিয়ে টুইটারে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন বিজেপি নেতা রবিশংকর প্রসাদ। তিনি লিখেছেন, “ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু সেই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা করার চেষ্টা করছেন কিছু নেতা। তাঁদের মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, এপিজে আবদুল কালাম, মনমোহন সিং, দ্রৌপদী মুর্মু- সকলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু তাঁরা দেশের শীর্ষপদে বসেছেন।” সেই সঙ্গে মুফতিকে খোঁচা দিয়ে প্রসাদের প্রশ্ন, ”আপনি কি একজন সংখ্যালঘুকে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে পারবেন?” প্রসঙ্গত, ঋষি সুনাকের সংখ্যালঘু পরিচয় নিয়ে ইতিমধ্যেই টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে #হ্যাশট্যাগ মুসলিম পিএম।