সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের মদতে ২৬/১১-এর ধাঁচে হামলার পরিকল্পনা ছিল চার জইশ জঙ্গির। নাগরোটা এনকাউন্টারে (Nagrota Encounter) খতম হওয়া জেহাদির পাক-যোগ প্রমাণ হতেই পাকিস্তান (Pakistan) হাই কমিশনের শীর্ষ কর্তাকে সমন পাঠিয়েছিল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। শনিবার তাঁকে ডেকে ভারত কড়া প্রতিক্রিয়াও দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। জেহাদি গোষ্ঠীকে মদত দেওয়া থেকে পাকিস্তানকে বিরত থাকার বিষয়ও সতর্ক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনার তৎপরতায় নাগরোটায় ভেস্তে যায় জঙ্গি হামলার ছক। গুলির লড়ইয়ে খতম হয় চার জইশ সদস্য। উদ্ধার হয় বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র সম্ভার থেকে পাক-যোগ স্পষ্ট হয়ে যায়। এবার তা নিয়ে পাকিস্তান হাই কমিশনের শীর্ষ আধিকারিককে ডেকে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত।
[আরও পড়ুন : সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে ফের গুলি পাকিস্তানের, রাজৌরিতে শহিদ সেনা জওয়ান]
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাক হাই কমিশনের কর্তার কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিদেশমন্ত্রকের কর্তারা। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে পাকিস্তানি সাহায্য বন্ধের বিষয় দাবি জানিয়েছে ভারত। জঙ্গিরা যাতে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার না করতে পারে, সে দিকে লক্ষ্য রাখার কথা জানায় বিদেশমন্ত্রক। পাকিস্তানে গড়ে ওঠা নাশকতামূলক কার্যকলাপ সংক্রান্ত পরিকাঠামো ধ্বংস করার দাবিও জানানো হয়। পাকিস্তানের উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত সমস্ত রকম পদক্ষেপ করবে। উল্লেখ্য, নাগরোটায় হামলার পিছনে পাকিস্তানের মদতের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
নাগরোটায় নিহত জঙ্গিদের সঙ্গে জইশ যোগের বিষয়টি বৃহস্পতিবারই স্পষ্ট হয়ে যায়। জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন ও জিপিএস ঘেঁটে মেলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন পাকিস্তান থেকে সাম্বা সেক্টর দিয়ে চার পাকজঙ্গি ভারতে ঢোকে। জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের এক ভাইয়ের সঙ্গে ওই জঙ্গিরা যে যোগাযোগ রাখছিল তাও স্পষ্ট হয়ে যায়।
সূত্রের খবর, নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে কাশ্মীর পুলিশ একটি ডিজিটাল মোবাইল রেডিও উদ্ধার করেছে। ওই ডিজিটাল মোবাইল রেডিওর কিছু টেক্সট বার্তায় তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন পাকিস্তানি হ্যান্ডেলাররা ওই বার্তাগুলি পাঠিয়েছিল। সেখান জানতে চাওয়া হয় ওই চারজন সুরক্ষিতভাবে পৌঁছে গিয়েছে কিনা, কতদূর এসেছে, সমস্চ অস্ত্র সুরক্ষিত হয়েছে কিনা। উপরন্তু রেডিওটি পাকিস্তানে তৈরি।