সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে কাশ্মীরেজুড়ে পাক জঙ্গিদের উপদ্রব, অন্যদিকে লাদাখ এবং অরুণাচল সীমান্তে চিনা সেনার আগ্রাসন। ত্রিফলা চাপের মুখে পড়েও মাথা নত করেনি ভারত। আর আগামীদিনেও কোনও চাপের কাছে আমরা মাথা নোয়াব না। একযোগে চিন এবং পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। তাঁর সাফ কথা, গোটা বিশ্বে যে হারে ভারতের গৌরব এবং গুরুত্ব বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে ভারতের উপর আর কেউ জোর খাটাতে পারবে না।
শনিবার তামিলনাড়ুর এক অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী (EAM) স্বীকার করে নিয়েছেন, লাদাখের মতো গত বছরের শেষের দিকে অরুণাচল সীমান্তেও আগ্রাসন শুরু করেছে চিন। অরুণাচলে হাজার হাজার চিনা সেনা ভারতের জমি দখল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁর দাবি, দৃঢ়তার সঙ্গে ভারত চিনের এই হামলার জবাব দিচ্ছে। জয়শংকরের কথায়,”ভারত দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমাদের আর কোনওরকম চাপে ফেলা যাবে না।” চিনকে হুঁশিয়ারির সুরে বিদেশমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, নিজেদের সীমান্ত সুরক্ষার জন্য যা যা করার সব করবে ভারত। তিনি জানিয়েছেন, করোনার ধাক্কা উপেক্ষা করেও চিনের সব হামলা প্রতিহত করে কড়া জবাব দিচ্ছে ভারত। চিন সীমান্তে হাজার হাজার ভারতীয় সেনা (Indian Army) মোতায়েন রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো’য় শামিল হতে CPM-সহ বাম দলগুলিকে আহ্বান কংগ্রেসের, কী বলছে তৃণমূল?]
চিনের পাশাপাশি পুরনো শত্রু পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন জয়শংকর। উরি এবং বালাকোট (Balakot) প্রসঙ্গ মনে করিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলে দেন, পুলওয়ামার (Pulwama) জঙ্গি হামলার জবাবে বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারত গোটা বিশ্বকে বার্তা গুরুত্বপূর্ণ দিয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশমন্ত্রীর আক্ষেপ, ১৯৪৭ সালে বিভাজন না হলে আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ হত ভারত। চিন নয়। জয়শংকরের দাবি, এত বাধা-বিপত্তি সত্বেও ভারত আজ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে গোটা বিশ্ব বুঝতে পারছে, চাপ দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।
[আরও পড়ুন: ‘দালাল কাকা’র মাধ্যমে ভুয়ো কল লেটার! প্রাথমিকে ইন্টারভিউ দিতে এসে আটক ভুয়ো পরীক্ষার্থী]
করোনাকালে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) প্রযুক্তির ব্যবহার করে দেশজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি সফল করেছেন, সেটারও ভূয়সী প্রশংসা করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনার সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীরা টিকাকরণের সমস্যার কথা তাঁর কাছে বলেছেন। কিন্তু ভারত সেই সমস্যায় পড়েনি। তাঁর কারণ মোদি গোটা বিশ্বে একজনই আছেন।