সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বুলেট ট্রেন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন নিয়ে নয়া স্বপ্নের মাঝে আদতে হাঁড়ির হাল ভারতীয় রেলের (Indian Railways)। গত অর্থবর্ষে প্রতি ১০০ টাকা আয় করতে রেলকে ব্যয় করতে হয়েছিল ১০৭.৩৯ টাকা। অর্থাৎ উদ্বৃত্ত দূর, হিসেব বলছে, ভারতীয় রেল চলছে ঘাটতি।
সোমবার বাজেটে (Budget) রেলের ব্যয়বরাদ্দ আলোচনার জন্য রিপোর্ট জমা দিয়েছে রেল সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সেখানেই সামনে আসছে ভারতীয় রেলের আর্থিক এই অবস্থা। সঙ্গে অবশ্য বলা হয়েছে, যাত্রী এবং পণ্য পরিবহণ – দুইই বেড়েছে অনেক পরিমাণে। তাই আশা করা যাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষে এই ঘাটতি (Crisis) কমিয়ে উদ্বৃত্তের মুখ দেখা যাবে।
[আরও পডুন: ‘যা করেছে সায়গল করেছে, আমি জানি না’, জেরায় আচমকা ভোলবদল কেষ্টর]
এর মাঝেই অবশ্য রেলযাত্রায় প্রবীণ নাগরিকদের (Senior Citizens) ছাড় ফেরানোর প্রস্তাব দিল স্থায়ী কমিটি। বলা হয়েছে, প্রাক কোভিড (COVID-19) পর্বে প্রবীণ নাগরিকদের যেমন ছাড় দেওয়া হত, আবার তা ফিরিয়ে আনা হোক। অতীতে ষাটোর্ধ্ব পুরুষ ও ৫৮-র বেশি মহিলারা যথাক্রমে ৪০ ও ৫০ শতাংশ ছাড় পেতেন। ২০ মার্চ ২০২০ থেকে যা বন্ধ রাখা হয়েছে। কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেহেতু কোভিড পরিস্থিতি থেকে এখন বেরিয়ে এসেছে দেশ, রেল পরিবহণও স্বাভাবিক হয়েছে। তাই দেশের বয়স্কদের দেওয়া হোক তাঁদের প্রাপ্য সুবিধা।
[আরও পডুন: চার দফায় বকেয়া পরিশোধের সিদ্ধান্ত বাতিল, ‘এক পদ, এক পেনশন’-এ বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
তবে এই প্রস্তাব যে মানবেই মন্ত্রক, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কারণ অতীতেও কমিটি প্রবীণ নাগরিকদের রেলে ছাড় ফেরানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই সময় মন্ত্রকের বক্তব্য ছিল, এমনিতেই প্রায় ৫০ শতাংশ ভরতুকিতে (Subsidy) চলে ভারতীয় রেল। কমিটির বক্তব্য, সবাইকে না হলেও স্লিপার ও থ্রি এসি-তে অন্তত দেওয়া হোক ছাড়। কারণ টু এসি ও ফার্স্ট ক্লাসে যাঁরা যাতায়াত করেন, ধরে নেওয়া যায় তাঁরা যথেষ্ট বিত্তবান, ছাড়ের প্রয়োজন নেই।