সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাকার (INR) দামে ফের রেকর্ড পতন। আশি পেরিয়ে আরও পনেরো পয়সা কমে গেল টাকার দাম। সোমবার বাজার খুলতেই এক ধাক্কায় বেশ কমে যায় টাকার দাম। এক মার্কিন ডলারের দাম গিয়ে দাঁড়ায় আশি টাকা এগারো পয়সায়। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বাজার বন্ধ হওয়ার সময়ে এক মার্কিন ডলারের (USD) দাম ছিল ৭৯ টাকা ৮৭ পয়সা। একধাক্কায় ৩৪ পয়সা পড়ে গিয়েছে টাকার দাম।
এইভাবে টাকার দাম কমে যাবে, সেটা প্রত্যাশিত ছিল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। বাজার খোলার সময়ে যদি নাও হয়, তবে সারাদিনের কোনও এক সময়ে টাকার দামে পতন ঘটবে বলেই অনুমান করা গিয়েছিল। তবে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে শেয়ার বাজারে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় মুদ্রা। তবে এখনও আশির নীচে নামেনি টাকার দাম। বিনিয়োগকারীদের মতে, অদূর ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতির সমস্যার সমাধান করতে হবে। সেই কারণে আবারও রেপো রেট বাড়ানোর সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে টাকার দামের উপর চাপ বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: লিভ-ইন এবং সমকামী সঙ্গীদেরও মিলবে পরিবারের স্বীকৃতি, মত দিল সুপ্রিম কোর্ট]
অন্যদিকে বাজারে মার্কিন ডলারের দামও লাফিয়ে বেড়েছে। সেদেশে মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেও সুদের হার না কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরেই বাজারে লাফিয়ে উন্নতি করেছে মার্কিন ডলার। সেই কারণে দাম কমেছে চিনের মুদ্রারও। সব ঘটনার প্রভাব পড়বে টাকার দামে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। বারবার টাকার দাম আশি ছাড়িয়ে যাচ্ছে, এহেন পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) ফের হস্তক্ষেপ করবে। কিন্তু তার ফলেও টাকার দাম বাড়বে বলে আশাবাদী নয় ওয়াকিবহাল মহল।
কেন বারবার টাকার দামের পতন ঘটছে? এর পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। একটি ইংরাজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আইএফএ গ্লোবাল (IFA Global) বেশ কয়েকটি কারণ তুলে ধরেছে। তারা জানিয়েছে, দুর্বল অভ্যন্তরীণ বাজার, অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি, ডলার ফুলে-ফেঁপে ওঠা এবং বিদেশি পুঁজি কমে যাওয়ার জন্য দেশীয় মুদ্রার উপর প্রভাব পড়ছে। চলতি বছরেই বারবার টাকার দামে রেকর্ড পতন ঘটেছে। সেই ধারা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।