সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার মাটি থেকে সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। সেদেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোও হুমকি দিয়েছিলেন যুদ্ধের। এবার তার জবাব দিল ভারত। জানিয়ে দিল, কোনও ধরনের দুরভিসন্ধি আচরণ করলেই যন্ত্রণাময় পরিণতি ভুগতে হবে পাকিস্তানকে।
সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ''পাকিস্তানের উচিত তাদের বক্তব্য সংযত করা। কারণ যেকোনো দুরভিসন্ধি আচরণের পরিণতি বেদনাদায়ক হবে, যেমনটি সম্প্রতি হয়েছে।'' সম্প্রতি ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় শিল্পপতি আদনান আসাদের নৈশভোজে গিয়ে পাক সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘আমরা পরমাণু শক্তিধর দেশ। যদি মনে হয় আমরা ধ্বংসের পথে এগোচ্ছি, তবে অর্ধেক বিশ্বকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ধ্বংস হব।’’ ভারতের নাম না করলেও এই হুঁশিয়ারি ভারতকেই দিয়েছেন মুনির, এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।
এদিকে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রী তথা পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সম্প্রতি বলেছিলেন, “ভারতের সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত বেআইনি। অবিলম্বে এই চুক্তি পুনর্বহাল করতে হবে। যদি নয়াদিল্লি তা না করে, তাহলে পাকিস্তান সিন্ধু-সহ ছ’টি নদীর জল ছিনিয়ে আনবে। সেক্ষেত্র যদি যুদ্ধে যেতে হয়, ইসলামাবাদ তার জন্যও প্রস্তুত।” অবশেষে এর জবাব দিল নয়াদিল্লি।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের ছায়া সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে যায় পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয় ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের আর্জিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি।
