সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণ করার জন্য এক নাবালিকাকে অপহরণ করেছিল। কিন্তু ধর্ষণে বাধা দেয় সাত বছর বয়সি নাবালিকা। সেই রাগে ২৯ বার ধারাল অস্ত্রের কোপ দিয়ে নাবালিকাকে খুন করে অপহরণকারী। নৃশংস এই ঘটনায় অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল ইন্দোরের (Indore) বিশেষ পকসো (POCSO) আদালত। সেই সঙ্গে মৃত নাবালিকার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে আদেশ দেওয়া হল রাজ্য সরকারকে।
ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। জানা গিয়েছে, আজাদ নগর এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল সাত বছর বয়সি মেয়েটি। সেই সময় সাদ্দাম নামে এক ব্যক্তি জোর করে তাকে তুলে নিয়ে নিজের বাড়িতে চলে যায়। গোটা ঘটনা দেখে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের জানায় মেয়েটির এক বন্ধু। বিষয়টি জানতে পেরে সাদ্দামের বাড়ি ঘিরে ফেলে জনতা। তখনই বাড়ির ভিতরে ওই নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুন করে সাদ্দাম। ধারাল অস্ত্র নিয়ে ২৯ বার কোপ মারা হয় ওই নাবালিকাকে। আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয় তার।
[আরও পড়ুন: বিজেপি নেতাকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে কুপিয়ে খুন! অভিযোগ মাওবাদীদের দিকে]
সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয়দের উদ্যোগে ধরা পড়ে সাদ্দাম। পুলিশ জানায়, ধর্ষণে বাধা দেয় নাবালিকা। তার চিৎকার শুনে ভিড় জমান স্থানীয়রা। সেই রাগেই খুন করেছে সাদ্দাম। যদিও মামলা চলাকালীন একাধিকবার নিজেকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রমাণ করতে চেয়েছে ৩১ বছর বয়সি অভিযুক্ত সাদ্দাম। কিন্তু আদালতে পাত্তা পায়নি সেই যুক্তি। সাফ প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবেই নাবালিকাকে খুন করেছে সাদ্দাম। কয়েকদিন আগেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
সোমবার ইন্দোরের বিশেষ আদালত সাদ্দামের শাস্তি ঘোষণা করে। পকসো আদালতের বিচারক সুরেখা মিশ্র জানান, একাধিক অপরাধে দোষী প্রমাণিত হয়েছে সাদ্দাম। তার মধ্যে খুনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে। এছাড়াও অপহরণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সাদ্দামকে। ৯ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নাবালিকার পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য দিতে হবে।