সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১২ শিনা বোরা হত্যা মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের দাবি, বেঁচে আছেন তাঁর মেয়ে শিনা বোরা। তাঁকে দেখা গিয়েছে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকতে। গত মাসে সিবিআইকে লেখা এক চিঠিতে এমন বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন ইন্দ্রাণী। এবার ফের একই দাবি করতে দেখা গেল তাঁকে। বিশেষ সিবিআই আদালতের কাছে তাঁর আরজি খতিয়ে দেখা হোক বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ।
এই মুহূর্তে জামিনে মুক্ত ইন্দ্রাণী। এই পরিস্থিতিতে আদালতে একটি পিটিশন জমা দিয়েছেন তিনি। যা সমর্থন করেছেন তাঁর আইনজীবীরাও। ইন্দ্রাণীর দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে এক যুবতীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বিমানবন্দরে, যাঁকে দেখতে অবিকল শিনার মতোই। ইন্দ্রাণীর আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।
[আরও পড়ুন: মন্তব্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষ! প্রজ্ঞা ঠাকুরের শাস্তির দাবিতে খোলা চিঠি শতাধিক প্রাক্তন আমলার]
উল্লেখ্য, এর আগে ইন্দ্রাণী (Indrani Mukerjea) দাবি করেছিলেন তিনি কন্যা শিনাকে কাশ্মীরে দেখেছেন। সেবারও কাশ্মীরে গিয়ে শিনার হদিশ করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছিলেন সিবিআইকে। ফের একই দাবি করতে দেখা গেল তাঁকে। যাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।
ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের দাবিতে যদি বিন্দুমাত্র সত্যতা থাকে, তাহলে শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড (Sheena Bora murder case) ভারতের ইতিহাসের অন্যতম চাঞ্চল্যকর মামলা হয়ে থাকবে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে গোটা দেশে সাড়া ফেলেছিল শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড। অভিযোগ, সে বছরের ২৪ এপ্রিল একটি গাড়ির মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ২৫ বছরের যুবতীকে। শিনা বোরা ছিলেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় ও তাঁর সঙ্গী সিদ্ধার্থ দাসের মেয়ে। প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না ও চালক শ্যাম রাইয়ের সাহায্যে মুম্বই থেকে অনতিদূরে রায়গড়ের নির্জন জঙ্গলে শিনার দেহ পুড়িয়ে মাটি চাপা দিয়ে দেন ইন্দ্রাণী৷ তা না হলে ইন্দ্রাণী অনেক আগেই ধরা পড়ে যেতেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞ মহলের।