সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূস্বর্গের নতুন আতঙ্ক ড্রোন। জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশনে (Jammu Airforce Station Explosion) হামলার পর থেকে কাশ্মীরের ইতিউতি উড়ে বেড়াচ্ছে ড্রোন। যদিও সেনা তৎপরতায় বড়সড় কোনও নাশকতামূলক ঘটনা ঘটাতে পারেনি ড্রোনগুলি। কিন্তু কোথা থেকে এল এত ড্রোন (Drone)? কাশ্মীরে কারা সরবরাহ করেছে এই আনম্যানড ভেহিক্যালস?
জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে হামলায় পাকযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। তবে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার দিকেই অভিযোগের তির রয়েছে। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানের তরফে ড্রোন পাঠিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীকে সাহায্য করা হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, ড্রোনগুলি আদপে চিনে তৈরি। হালকা ধরনের উপাদান দিয়ে ড্রোনগুলি তৈরি করা হয়্ছে। আর এ ধরনের চিনা ড্রোন পাকিস্তান কিনেছিল বিশেষ কারণে। কী সেই কারণ?
[আরও পড়ুন: জঙ্গিদের নিশানায় সেনাঘাঁটি, সীমান্তে শত্রু ড্রোন ধ্বংসে বিকল্প খুঁজছে ফৌজ]
সেনা গোয়েন্দাদের দাবি, মূলত দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলে খাবার কিংবা ওষুধ পৌঁছে দিতে এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার হয়ে থাকে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে পিজ্জা (Pizza) এবং ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার স্বার্থেই বেজিংয়ের কাছে থেকে প্রচুর ড্রোন কিনেছে পাকিস্তানও (Pakistan)। এ ধরনের ড্রোনগুলি যেমন ওজনে হালকা হয়। তেমনই অনেকটা নিচু দিয়ে উড়তে সক্ষম। আবার নির্দিষ্ট টার্গেটে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতেও সক্ষম। জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশনে বিস্ফোরণে যে ধরনের ড্রোন ব্যবহার হয়েছে তার সঙ্গে পাকিস্তানের ক্রয় করার ড্রোনের মিল রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে ড্রোন হামলা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।
শ্রীনগরের ১৫ কর্পসের কমান্ডার ডিপি পাণ্ডে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা সকলেই শত্রুদের অস্ত্রভাণ্ডার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। ড্রোন তো আর রাস্তায় তৈরি হয় না। জম্মু হামলায় যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে তাতেই স্পষ্ট লস্কর কিংবা জইসদের মতো কোনও গোষ্ঠী এই কাজ করেছে। আর তাদের পিছনে কোনও রাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। সেই রাষ্ট্রই এই অস্ত্র তাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছে।”