সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবিসির তথ্যচিত্র ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন দেখানো ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি (JNU) ক্যাম্পাস। নিষেধাজ্ঞা সত্বেও মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় ক্যাম্পাসের অন্দরেই তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী শুরু হয়। সেখানেই জমায়েত হওয়া পড়ুয়াদের উপর পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে। এমনকী ক্যাম্পাসের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং করিয়ে পড়ুয়াদের হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় থানার সামনে ধরনায় বসেন পড়ুয়ারা। দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রতিবাদের পরে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে এফ আই আর গ্রহণ করেনি পুলিশ। গোটা ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কিছুই জানানো হয়নি।
দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) নিয়ে বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র। সোমবারই জে এন ইউ কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছিল, ক্যাম্পাসে এই তথ্যচিত্র দেখানো যাবে না। কিন্তু ছাত্র সংসদ বদ্ধপরিকর হয়ে মঙ্গলবার সন্ধেবেলা ছবি (BBC Documentary) প্রদর্শনী শুরু করে। তখনই সমবেত জনতার উপর পাথর ছোঁড়া হয়। একই সময়ে লোডশেডিং হয় ক্যাম্পাসে। দুই ঘটনার জন্যই এবিভিপিকে দায়ী করে ছাত্র সংসদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের কাছে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়ারা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সাহায্য চেয়ে ফোন করলেও পুলিশ সাড়া দেয়নি বলেই জানিয়েছেন এক ছাত্র নেতা।
[আরও পড়ুন: দেশজুড়ে মুক্তি পেল ‘পাঠান’, তার আগেই অনলাইনে ফাঁস শাহরুখের কামব্যাক ছবি!]
লোডশেডিং হয়ে যাওয়ার পরে ফোনেই ছবি দেখা শুরু করেন পড়ুয়ারা। সেই সময়ও তাঁদের উপর পাথর নিয়ে হামলা হয় বলে জানা গিয়েছে। গভীর রাতে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে বসন্তকুঞ্জ থানার সামনে জড়ো হন পড়ুয়ারা। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ পরে অভিযোগ দায়ের করেন পড়ুয়ারা। তবে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ দায়ের হলেও সেটা এফআইআর নয়। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই তথ্যচিত্রটি দেখানো হয়েছে। কেরলে একাধিক সংগঠন এই তথ্যচিত্র দেখানোর আয়োজন করেছে। তার পালটা দিয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের করেছে বিজেপির যুব নেতৃত্ব। এমনকি কেরলের (Kerala) মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কাছে আরজি জানিয়ে বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, এই ছবির প্রদর্শনী বন্ধ করা হোক। প্রসঙ্গত, জেএনইউ ছাত্র সংসদের তরফে আগেই অভিযোগ করা হয়েছিল, বিজেপির নির্দেশেই ক্যাম্পাসে এই ছবির প্রদর্শন বন্ধ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের হাতেখড়ি নিয়ে দ্বন্দ্ব গেরুয়া শিবিরে, ‘বিজেপি বাংলা ভাষার শত্রু’, কটাক্ষ কুণালের]