সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা তাঁর দায় দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। অথচ, তিনিই কিনা আইন হাতে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে কর্ণাটকে। দলীয় নেতার খুনের ঘটনায় মেজাজ হারিয়ে অভিযুক্তদের নৃশংসভাবে খুন করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। তাও প্রকাশ্যে। একটি ফোন কলের মাধ্যমে তাঁর দেওয়া সেই হুমকি সংবাদামাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছে।
সোমবার বিকেলে দক্ষিণ কর্ণাটকের মাণ্ডিয়াতে প্রকাশ নামে জেডিএসের এক নেতা খুন হন। বিকেল ৪ টে ৩০ মিনিট নাগাদ, একদল বাইক আরোহী তাঁকে তাড়া করে। গাড়ি থেকে নামিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় প্রকাশকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় কুমারস্বামী ঘনিষ্ঠ নেতার। সহযোগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে মেজাজ হারান খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের সামনেই ফোনে তাঁকে অভিযুক্তদের খুন করার নির্দেশ দিতে শোনা যায় । তিনি বলেন, ” প্রকাশ ভাল মানুষ ছিল। আমি জানি না কারা তাঁকে এভাবে খুন করেছে। ওদের নৃশংসভাবে খুন করে দাও। কোনও সমস্যা হবে না।”
[পরপর ৫০টি গাড়ির একে অপরকে ধাক্কা, মৃত ৮]
কিন্তু প্রশ্ন হল, একজন মুখ্যমন্ত্রী আইন হাতে তুলে নেওয়ার নির্দেশ কীভাবে দিলেন? মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা বলছেন, প্রকাশের খুনের কথা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন কুমারস্বামী। আবেগের বশেই ওই নির্দেশ দিয়ে ফেলেন তিনি। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও খানিকটা এই সুরেই সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এমন কোনও নির্দেশ দিইনি। এটা নেহাত রাগের বশে বলে ফেলেছি। প্রকাশ খুনে অভিযুক্তরা আরও দুটি খুনের মামলায় জড়িত। এর আগেও জেলে ছিল, এবার আরও একজনকে মেরে ফেলল।” কুমারস্বামী নিজে যতই সাফাই দিন, তাঁর এই নির্দেশ নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাঁর সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
[সেনায় যোগ দিল মেয়ে, গর্বে চোখে জল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর]
The post প্রকাশ্যে ফোনেই খুনের নির্দেশ, বিপাকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.