shono
Advertisement
Karnataka Congress Crisis

হাসিমুখে ছবি তোলাই সার, মেটেনি শিব-সিদ্দার বিবাদ! আতান্তরে হাই কম্যান্ড

মুখ্যমন্ত্রীর পদটি নিয়ে এখনও কোনও রফায় দুই শিবির পৌঁছতে পারেনি!
Published By: Subhajit MandalPosted: 11:52 AM Nov 30, 2025Updated: 11:52 AM Nov 30, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাবার টেবিলে হাসিমুখে ছবি তুলেছিলেন। প্রকাশ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তাও দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কর্নাটকে কংগ্রেসের বিবাদ মিটছে না। দুই বিবাদমান নেতা ডিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়াকে এক টেবিলে বসাতে সক্ষম হলেও তাঁদের মধ্যে পুরোপুরি সন্ধি করাতে পারেনি কংগ্রেস হাই কম্যান্ড। মুখ্যমন্ত্রীর পদটি নিয়ে এখনও কোনও রফায় দুই শিবির পৌঁছতে পারেনি।

Advertisement

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, শনিবার সকালে সিদ্দারামাইয়ার বাড়িতে প্রাতরাশে নিজেদের মধ্যে কথা বলে বিবাদ মিটিয়ে নিয়েছেন দুই নেতা। যে রফাসূত্রে দুই নেতা পৌঁছেছেন সেটা হল, এখনই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরতে হবে না সিদ্দাকে। তবে ধীরে ধীরে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেবেন। আপাতত মন্ত্রিসভার রদবদলে ডিকের অনুগামীদের ভালো ভালো মন্ত্রক দেওয়া হবে। সংখ্যাও আগের চেয়ে বাড়ানো হবে। শুধু তাই নয়, ডিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং উপমুখ্যমন্ত্রী দুই পদেই বহাল থাকবেন।

কিন্তু সূত্র বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদটি নিয়ে দুই নেতা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ওই ব্রেকফাস্ট টেবিলে শিবকুমার সিদ্দারামাইয়াকে মনে করিয়ে দেন, যে ক্ষমতায় আসার পর আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি ভাগাভাগির ফরমুলা তৈরি হয়েছিল। সিদ্দা নাকি সেটা মনেই করতে পারেননি। তিনি পালটা প্রস্তাব দিয়েছেন, এই পাঁচ বছর নির্বিবাদে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী থাকতে দেওয়া হোক। ২০২৮ সালে ভোটের আগে শিবকুমারকে মুখ ঘোষণা করে দেওয়া হবে। এবং তাতে তিনি সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করবেন। সেই প্রস্তাব নাকি ডিকের মনপসন্দ হয়নি। তিনি বলে গিয়েছেন, আড়াই বছরের চুক্তি এখন অস্বীকার করতে পারেন না সিদ্দা। যদিও দুজনেই বল ঠেলেছেন হাইকম্যান্ডের কোর্টে। ঠিক হয়েছে, রাহুল গান্ধী যা বলবেন সেটাই দুই নেতা হাসিমুখে মেনে নেবেন।

শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্দার মতো প্রভাবশালী নেতাকে রাতারাতি সরিয়ে দিতে নারাজ। তাতে ভোটারদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। দলের মনে হচ্ছে, কর্নাটকের মতো রাজ্যে দুই নেতার বিবাদের ছবি একেবারেই ভালো বার্তা দিচ্ছে না। তাই তাঁরা চাইছিলেন খানিকটা ক্ষমতা বাড়িয়ে ডিকে-কে শান্ত করতে। সেই সূত্র ডিকে মানেন কিনা সেটাই দেখার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • খাবার টেবিলে হাসিমুখে ছবি তুলেছিলেন। প্রকাশ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তাও দিয়েছেন।
  • কিন্তু তাতেও কর্নাটকে কংগ্রেসের বিবাদ মিটছে না।
  • দুই বিবাদমান নেতা ডিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়াকে এক টেবিলে বসাতে সক্ষম হলেও তাঁদের মধ্যে পুরোপুরি সন্ধি করাতে পারেনি কংগ্রেস হাই কম্যান্ড।
Advertisement