সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। রাওয়াতের আকস্মিক প্রয়াণে এখনও শোকস্তব্ধ দেশ। বুধবার বিকেলে তাঁর প্রয়াণ সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ পোস্টে রাওয়াতকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হলেও কিছু পোস্টে রাওয়াতের মৃত্যু নিয়ে মজা করা হয়। এরই প্রতিবাদে ইসলাম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেন কেরলের জাতীয় পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক (National Award Winer Film Director ) আলি আকবর (Ali Akbar)। আলি আকবর জানিয়েছেন, নিজের ধর্মের প্রতি বিশ্বাস উঠে গিয়েছে তাঁর, ফলে সস্ত্রীক হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কপ্টার দুর্ঘটনায় দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত মৃত্যুর পর শোকপ্রকাশ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন পরিচালক আলি আকবর। সেই পোস্টের তলায় অনেকে মজার স্মাইলি দেন। পরিচালকের অভিযোগ, একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষই এই দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। এরপরই একটি ভিডিওয় (Video) প্রতিবাদ করেন। এবং জানিয়ে দেন, নিজের ধর্মের প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছেন তিনি। তাই স্ত্রী লাকিআম্মা ও তিনি হিন্দু হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।
[আরও পড়ুন: ‘সৈন্যের বন্ধু, শত্রুর জন্য উদ্যত তরবারি’, অভিনব বিজ্ঞাপনে রাওয়াতকে শ্রদ্ধা আমুলের]
আলি আকবর সাফ জানিয়েছেন, যারা এই ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে মজা পান তারা ‘দেশদ্রোহী’। একটি ভিডিওতে পরিচালক বলেন, “জন্ম থেকে আমি যে পরিচয় পেয়েছিলাম আমি তা ত্যাগ করছি। এখন থেকে আমি আর মুসলিম নই। আমি প্রথমে একজন ভারতীয়। যারা ভারতের ক্ষতিতে মজা পায়, তাদের জন্য এটা আমার উত্তর।”
[আরও পড়ুন: ‘রাস্তা আটকে নমাজ পড়া চলবে না’, স্পষ্ট ঘোষণা হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর]
কেরলের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক জানিয়েছেন, তাঁর নতুন নাম হবে রামাসিমা। তাঁর কথায়, রামাসিমা এমন এক ব্যক্তি, যিনি নিজের সংস্কৃতিকে বাঁচাতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। বিপিন রাওয়াতকে নিয়ে আপত্তিকর প্রতিক্রিয়ার জেরে আলি আকবর ইতিমধ্যে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করেছেন। কেরালার বিশিষ্ট পরিচালক এও জানিয়েছেন, কোনও ধর্মগুরু তাঁকে প্রতিবাদ জানাতে ধর্ম পরিবর্তনের পরামর্শ দেননি, এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে তিনি ও তাঁর স্ত্রী হিন্দুত্বের পথে হাঁটলেও নিজের দুই মেয়েকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেবেন না। তাঁরা নিজেদের ইচ্ছে মতো ধর্ম বেছে নেবেন।