সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলে এবং মেয়েরা একই সঙ্গে এক বেঞ্চে বসে পড়াশোনা করতে পারবে না! এমনই আজব ফতোয়া জারি করলেন কেরলের মুসলিম নেতা পি এম এ সালাম। তাঁর মতে, ছেলে এবং মেয়েদের একসঙ্গে বসালে পড়াশোনা থেকে তাদের মন সরে যাবে। সালাম আরও বলেছেন, লিঙ্গবৈষম্য দূর করার পরিবর্তে নারী পুরুষের মধ্যে ভেদাভেদ আরও বাড়িয়ে দেবে এমন পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্য দূর করার জন্য নানা পদক্ষেপ করছে কেরল সরকার (Kerala)।
সালাম বলেছেন, “ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে বসানোর কাজটা খুবই বিপজ্জনক। ক্লাসরুমে ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে বসার দরকারটাই বা কী? শুধু শুধু পড়ুয়াদের জোর করে একসঙ্গে বসার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে কেন?” সালামের মতে, ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে বসে পড়াশোনা করলে আখেরে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। পড়াশোনা (Kerala Education) থেকে পড়ুয়াদের মন সরে যাবে। সেই সঙ্গে কেরল সরকারের শিক্ষানীতিরও তুমুল সমালোচনা করেছেন সালাম।
[আরও পড়ুন: নজিরবিহীন! প্রধানমন্ত্রী মোদির নিরাপত্তায় এবার ‘দেশি কুকুর’]
সমাজে লিঙ্গবৈষম্যের প্রসঙ্গ নিয়েও মুখ খুলেছেন সালাম (Kerala Muslim Leader)। তাঁর মতে, “লিঙ্গসমতার বিষয়টি কোনও ধর্মের সঙ্গে জড়িত নয়। এটা মানুষের নীতিবোধের উপরে নির্ভর করে। সরকার লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল পড়ুয়ার জন্য একই রকম ইউনিফর্ম চালু করতে চাইছে। তার ফলে লিঙ্গবৈষম্যের সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। সরকারের কাছে আমরা আবেদন করব, এই উদ্যোগ যেন অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
প্রসঙ্গত, সকল স্কুল পড়ুয়ার জন্য প্যান্ট শার্টের ধাঁচে পোশাকের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে কেরল সরকার। সেই উদ্যোগের দিকে আঙুল তুলেছেন বেশ কয়েকজন মুসলিম নেতা। কিছুদিন আগেই কেরলের মুসলিম বিধায়ক এম কে মুনির বলেছিলেন, “এই ধরনের ইউনিফর্ম চালু করে আসলে মেয়েদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ করছে সরকার। মেয়েদের যদি প্যান্ট-শার্ট পরতে বাধ্য করা হয়, তাহলে ছেলেদের কেন চুড়িদার পরতে বাধ্য করা যাবে না? মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন কেন তাঁর স্ত্রীকে প্যান্ট-শার্ট পরতে বলেন? তিনি নিজে কেন শাড়ি পরেন না?”
আগেও বেশ কয়েকবার লিঙ্গবৈষম্য দূর করার কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে কেরল সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল মুসলিম সংগঠনগুলি। এহেন উদ্যোগের ফলে বামপন্থী ভাবধারা ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করছে সরকার, এমন অভিযোগ তোলা হয়েছিল মুসলিম সংগঠনগুলির তরফে।