সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাসকের নিশানায় ফের সংবাদমাধ্যম। কেরলে (Kerala) সংবাদমাধ্যমের অফিসে ঢুকে কার্যত ‘তাণ্ডব’ চালাল পুলিশ। রবিবার কোঝিকোড়ে সর্বভারতীয় এক নামী টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসে দিনভর তল্লাশি (Police raid) চালানো হয়েছে বলে খবর। এই চ্যানেলে স্কুলছাত্রীদের যৌন হেনস্তা নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে শনিবার সন্ধেয় অফিসে ঢুকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI)। আর তার পরদিন সেখানে চলল পুলিশ অভিযান। কেরলের প্রেস ক্লাব এসএফআইয়ের এই আচরণের নিন্দায় টুইট করেছে। পাশাপাশি কেরলের বামপন্থী সরকারের কাছে তাদের আবেদন, ঘটনার যথাযথ তদন্ত হোক।
১০ স্কুলছাত্রীর যৌন হেনস্তা নিয়ে একটি খবর সম্প্রচার হয়েছিল সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমটিতে। সেই খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন এবং ‘ভুয়ো খবর’ (Fake News) ছড়ানোর অভিযোগ তুলে কোঝিকোড়ে এই চ্যানেলের অফিসে শনিবার সন্ধেবেলা পৌঁছে যায় এসএফআইয়ের একদল কর্মী, সমর্থকর। অভিযোগ, তাঁরা নাকি নিরাপত্তারক্ষীদের সরিয়ে দিয়ে অফিসের ভিতরে ঢুকে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান, স্লোগান তুলতে থাকেন। এসএফআইয়ের ৩০ জন সদস্য সংবাদকর্মীদের হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। বলা হয়, এ ধরনের ‘ভুয়ো খবর’ সম্প্রচার করলে ফল ভাল হবে না।
[আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় দুর্নীতি হয়নি, রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি কেন্দ্রের]
এরপর রবিবার সকাল থেকেই চ্যানেলের অফিসে শুরু হয় পুলিশি অভিযান। সংবাদমাধ্যমের অফিসের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দীর্ঘক্ষণ ধরে। এতে বিজয়ন (Pinarai Vijayan) সরকারের ভূমিকায় যথারীতি শুরু হয়েছে সমালোচনা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর পুলিশের এই কার্যকলাপের ভিডিও টুইট করে কার্যত তুলোধোনা করেছেন বামপন্থীদের। তবে সিপিএম (CPM) নিজেদের ছাত্র সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদেরও দাবি, চ্যানেলটি ‘ভুয়ো খবর’ ছড়াচ্ছে। বিশেষত ছোট মেয়েদের যৌন হেনস্তা নিয়ে সুড়সুড়ি দেওয়ার কাজ করছে চ্যানেলটি, যা সমাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর তারই প্রতিবাদ করেছে এসএফআই। এদিন কোচিতে তাদের মিছিল, বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে।
তবে সেসবের আগে যেভাবে সংবাদমাধ্যমের অফিসে ‘পুলিশি তাণ্ডব’ দেখা গেল, তা যথেষ্ট লজ্জাজনক বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কেরলের প্রেস ক্লাব (Press Club)এর তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের টুইট, ”সংবাদমাধ্যমের অফিসে এসএফআই যেভাবে গায়ের জোর দেখিয়ে ঢুকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। তাদের পাশে রয়েছি। গণতন্ত্রে কোনও গা-জোয়ারি মনোভাব চলবে না। কেরল সরকারের কাছে আবেদন, এর যথাযথ তদন্ত হোক।”