সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার ভোরে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে হায়দরাবাদের ধর্ষণের ঘটনার চার অভিযুক্তর। এরপরই গোটা দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদল পুলিশের জয়গান গাইলেও অন্যদল এই ঘটনাকে মানবাধিকারের উপর চরম আঘাত বলে অভিযোগ করছে। উভয়পক্ষ যখন এই নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত, ঠিক তখনই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ। যেমন কেরলের দুই বোনকে ধর্ষণের পর খুনে অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর করল উত্তেজিত জনতা। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের পালাক্কাদ জেলার ওয়ালায়ার থানা এলাকায়। আক্রান্তের নাম সি মাধু। বর্তমানে গুরুতর জখম অবস্থায় পালাক্কাদ জেলা হাসপাতালে ভরতি আছে। তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
[আরও পড়ুন: পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের দাবি, হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়ে অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসে ওয়ালায়ার গ্রামে ১৩ বছরের এক কিশোরী ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণের পর তাকে খুন করে নিজের বাড়িতেই ঝুলিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এরপর অভিযোগ উঠে ওই কিশোরীকে বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে হেনস্তা করছিল কিছু মানুষ। পুলিশ আরও জানতে পারে, কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধারের আগে তাদের বাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি বেরিয়ে যেতে দেখেছিল ৯ বছরের বোন। এই ঘটনার দু’মাস বাদে একই জায়গা থেকে আর একই রকম অবস্থায় উদ্ধার হয় মৃত কিশোরীর ছোট বোনের লাশ। ময়নাতদন্তের পর জানা যায় তাকেও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। লাগাতার বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বাধ্য মৃত কিশোরীদের পরিচিত এক ব্যক্তি-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও কিছুদিন পরে স্থানীয় আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়ে যায় তারা। বর্তমানে আদালতের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে কেরল হাই কোর্টের আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এর মাঝে শনিবার এক অভিযুক্ত সি মাধুকে মারধর করল একদল মানুষ।
[আরও পড়ুন: এগারো মাসে ৮৬টি ধর্ষণ উন্নাওয়ে! পরিসংখ্যানে বিস্মিত দেশবাসী]
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে আচমকা সি মাধুর উপর চড়াও হয় একদল মানুষ। তারপর তাকে বেধড়ক মারধর করে ফেলে রেখে যায়। পরে কয়েকজন তাকে দেখতে পেয়ে পালাক্কাদ জেলা হাসপাতালে ভরতি করে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি। জানা যায়নি হামলার কারণও। খবর পাওয়ার পরে হাসপাতালে গিয়ে আক্রান্তের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।
এদিকে শনিবারই একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর। সেখানেও এক ধর্ষণে অভিযুক্তকে আদালতের মধ্যেই মারধর করেন আইনজীবীরা। তাকে আদালতে শুনানির জন্য হাজির করার সময়ই এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ কর্মীরা তাকে কোনও রকমে বাঁচিয়ে ওখানে থেকে সরিয়ে দেন।
The post হায়দরাবাদের জের! কেরলে ধর্ষণে অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর উত্তেজিত জনতার appeared first on Sangbad Pratidin.