সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিরাটের মতো টুকরো করে সিমেন্টের ড্রামে ভরে দেব! স্বামীকে এভাবেই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের এক মহিলার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। উল্লেখ্য, মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত যুবককে খুন করে দেহ টুকরো করে ড্রামে ভরে রেখেছিল স্ত্রী এবং তার প্রেমিক। সেই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় গোটা দেশে।
স্বামীকে হুমকি দেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডা জেলায়। জানা গিয়েছে, হুমকি দেওয়া হয়েছে জল নিগমে কর্মরত জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ধর্মেন্দ্র কুশওয়াহাকে। ২০১৬ সালে মায়া মৌর্যের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি কন্যা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মায়ার নামে একাধিক সম্পত্তি কিনেছেন ধর্মেন্দ্র। তার মধ্যে রয়েছে তিনটি চারচাকা গাড়ি এবং জমি। সেখানে একটি বাড়ি তৈরির জন্য যোগাযোগ করেন মায়ার আত্মীয় নীরজ মৌর্যের সঙ্গে। তারপরেই সমস্যা শুরু।
২০২২ থেকে মায়া এবং নীরজের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই সময় মারা যান নীরজের স্ত্রী। গত বছর জুলাই মাসে একদিন মায়া এবং নীরজকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন ধর্মেন্দ্র। প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বাড়ি থেকে সোনা এবং টাকা চুরি করে নীরজের সঙ্গে পালিয়েছেন মায়া, এমন অভিযোগও উঠেছে। তারপরেই গত শনিবার মায়া হুমকি দেন ধর্মেন্দ্রকে। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের দাবি, মায়া তাঁকে বলেন, "যদি বেশি কথা বলো তাহলে মিরাটের মতো তোমাকে টুকরো করে ড্রামে ভরে দেব।" হুমকির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। পুলিশেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মায়া।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ স্বামী সৌরভ রাজপুতকে খুন করে দেহ ১৫ টুকরো করে ড্রামে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে স্ত্রী মুসকান রাস্তোগিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই অপরাধে অভিযুক্ত তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্লাও। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রেমিক সাহিলের সঙ্গে মিলে স্বামী সৌরভকে মাদক মিশ্রিত পানীয় খাওয়ায় অভিযুক্তরা। এরপর ঘুমন্ত সৌরভের বুকে ছুরি বসিয়ে খুন করে দুজনে। এই ঘটনার খবর চাঞ্চল্য ফেলেছে গোটা দেশে।