shono
Advertisement
RSS

ঔরঙ্গজেব নন, 'আইকন' ভারতপ্রেমিক দারাশুকো-নিবেদিতা, সাফ কথা সংঘের

'ধর্ম ও জাত এখানে বিষয়ই নয়', মন্তব্য করলেন সংঘের সহকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবোলে।
Published By: Kishore GhoshPosted: 03:32 PM Mar 24, 2025Updated: 03:53 PM Mar 24, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগপুরে ঔরঙ্গজবের সমাধিকে ঘিরে বিতর্ক চরমে। এর মধ্যেই আরএসএসের সহকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবোলে মন্তব্য করলেন, মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব নন। ভারতের ‘আইকন’ হতে পারেন তাঁর বড় ভাই দারাশুকো। সোমবার বেঙ্গালুরুতে দত্তাত্রেয় হোসবোলে বলেন, "ঔরঙ্গজেবের নীতি কোনও ভাবেই ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না। এদেশের প্রেক্ষিতে বরং দারাশুকোর গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি।" ভারতপ্রেমিক ভগিনী নিবেদিতার কথাও বলেন তিনি।

Advertisement

সম্রাট শাহজাহান ও তাঁর স্ত্রী মুমতাজ মহলের বড় ছেলে দারাশুকো। ইতিহাস বলছে, ঔরঙ্গজেবের বিপরীত মেরুর মানুষ ছিলেন তিনি। একাধারে সংবেদনশীল শাসক, প্রগতিশীল কবি ও চিন্তক। ধর্মের ঊর্ধ্বে ভারতীয় সংস্কৃতির পৃষ্ঠোপোষক ছিলেন। ফার্সি ভাষায় গীতা ও উপনিষদ অনুবাদ করেছিলেন দারাশুকো। ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হন তিনি। ঔরঙ্গজেবের নির্দেশেই তাঁর শিরোচ্ছেদ করা হয়। শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় রচিত  'শাহজাদা দারাশুকো' বাঙালির অন্যতম পছন্দের উপন্যাস। ঔরঙ্গজেবের বিপরীতে এহেন দারাশুকোকেই ভারতীয় সংস্কৃতির আইকন হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।

সোমবার ছিল বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার তিন দিনের বৈঠকের শেষ দিন। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ঔরঙ্গজেবের সমাধি প্রসঙ্গে প্রশ্ন ওঠে। হোসবোলে পালটা প্রশ্ন তোলেন, যাঁরা ঔরঙ্গজেব নিয়ে এত কথা বলছেন, তারা কেন দারাশুকোর মতো চরিত্রের কথা বলেন না? আরএসএসের অন্যতম মুখ বলেন, "...কেন দারাশুকোর মতো চরিত্রকে তুলে ধরার পক্ষে সওয়াল করা হয়নি? যাঁরা ভারতীয় সংস্কৃতির পক্ষে সওয়াল করতেন আর যাঁরা সেই সংস্কৃতির বিরুদ্ধাচরণ করতেন— আমাদের কাদের তুলে ধরা উচিত, তা নিয়ে ভাবা দরকার? আমার মতে, যাঁরা এ দেশের সংস্কৃতি, মাটি ও পরম্পরাকে শ্রদ্ধা করেন, তাঁদের নায়ক বানানো উচিত। ঔরঙ্গজেব কোনও ভাবেই ওই তালিকায় আসেন না। কিন্তু দারাশুকো অবশ্যই পড়েন।" ভগিনী নিবেদিতার উদাহরণ টেনে আরও বলেন, "ধর্ম ও জাত এখানে বিষয়ই নয়। ভগিনী নিবেদিতা খ্রিস্টান হলেও এ দেশের সংস্কৃতিকে আপন করেছিলেন। তাই তিনি শ্রদ্ধেয়।"

হোসবোলে মনে করিয়ে দেন, একই কারণে ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পরেই দিল্লির ঔরঙ্গজেব রোডের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল। নতুন নাম হয়েছিল এপিজে আব্দুল কালাম রোড। তাঁর মতে, ব্রিটিশ কিংবা মোগলদের মতো বিদেশিদের বিরুদ্ধে যাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন, তাঁরা সকলেই স্বাধীনতা সংগ্রামী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সম্রাট শাহজাহান ও তাঁর স্ত্রী মুমতাজ মহলের বড় ছেলে দারাশুকো।
  • ঔরঙ্গজেবের নির্দেশেই দারাশুকোর শিরোচ্ছেদ করা হয়।
Advertisement