সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখানোর সময় গত ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখিমপুর খেরি (Lakhimpur Kheri) এলাকায় এসইউভি গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছিল চার কৃষকের। তারপর উত্তেজনার মধ্য়ে নিহত হয়েছিলেন এক সাংবাদিক-সহ আরও চার জন। সেই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্র। সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার পর আশিসকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
১৫ অক্টোবর আশিসের রাইফেল-সহ ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। বাজেয়াপ্ত হয়েছিল আরেক অভিযুক্ত অঙ্কিত দাসের আগ্নেয়াস্ত্রও। মঙ্গলবার সেই পরীক্ষার রিপোর্ট জমা পড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে।
[আরও পড়ুন: ‘ব্রাহ্মণ ও ব্যবসায়ীরা আমার পকেটে থাকে’, বিজেপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্যে শোরগোল]
কী বলছে ফরেনসিক রিপোর্ট? তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ঘটনার দিন ওই লাইসেন্সড আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালিয়েছিল অভিযুক্তরা। যদিও কেউ গুলিবিদ্ধ হননি সেদিন। কৃষকদের অভিযোগ ছিল, বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে মন্ত্রী-পুত্র ও তাঁর সঙ্গীর আগ্নেয়াস্ত্র থেকে। মন্ত্রীপুত্রের রাইফেল ও অঙ্কিতের পিস্তল থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন দু’জনেই। কিন্তু, শেষমেশ ফরেনসিক রিপোর্টে কৃষকদের সেই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
আশিসের সঙ্গী আরেক অভিযুক্ত অঙ্কিত দাসের পিস্তলও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। লখিমপুর-কাণ্ডে ফরেনসিক রিপোর্ট সামনে আসার পর তাই কার্যত বিপদ বাড়ল মন্ত্রী-পুত্রের। ঘটনায় মৃতদের শরীরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনও চিহ্ন না মিললেও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া গাড়িগুলিতে গুলির ক্ষত চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। ফলে ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন না বলে আশিস যে দাবি করেছিলেন, তা প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। মান্যতা পাবে কৃষকদের অভিযোগই। লখিমপুর কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘রাফালে দুর্নীতি হয়েছে কংগ্রেস আমলেই’, ফরাসি পোর্টালের তথ্য তুলে ধরে বিস্ফোরক সম্বিত পাত্র]
উল্লেখ্য, সোমবারই লখিমপুরকাণ্ডে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের তদন্তের শ্লথ গতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে রাজ্য পুলিশের তরফে জমা দেওয়া পরপর দু’টি ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ নিয়েও বিস্তর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল আদালত। হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে তদন্তের কথাও বলেছে শীর্ষ আদালত।