সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে রাজনৈতিক পালাবদলে ঘটনার ঘনঘটা। রবিবার আরজেডি (RJD), কংগ্রেসের (Congress) হাত ছেড়ে বিজেপিকে (BJP) সঙ্গী করে নবমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সোমবারই জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় পাটনায় ইডির দপ্তরে হাজিরা দিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। আবার কি গ্রেপ্তার হবেন লালু?
গতকাল ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে বিজেপি তথা এনডিএ-র সঙ্গী হয়েছেন নীতীশ কুমার। এর পর সোমবার লালুকে জিজ্ঞাসাবাদ রাজনৈতিক অভিসন্ধীর গন্ধ পাচ্ছেন আরজেডি নেতা-কর্মীরা। এদিন ইডির দপ্তরের বাইরে নেতাকে ‘হেনস্তা’র প্রাতিবাদে বিক্ষোভ দেখান বিপুল সংখ্যক দলীয় সমর্থক। সূত্রের খবর, রবিবার সকালেই দিল্লি থেকে পাটনায় পৌঁছান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের আধিকারিকরা। লালুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই পাটনায় এসেছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: দুই বিচারপতির সংঘাতে কলকাতা হাই কোর্ট থেকে মেডিক্যাল মামলা সরল শীর্ষ আদালতে]
বিজেপিকে সঙ্গী করে নীতীশের শপথ গ্রহণের পরেই লালুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বটে। যদিও ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৯ জানুয়ারি বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে সমন ধরিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তখনই তলব করা হয়েছিল লালু এবং ছেলে তেজস্বী যাদবকে। ২৯ এবং ৩০ জানুয়ারির মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সেই মতোই এদিন হাজিরা দেন বর্ষীয়ান আরজেডি নেতা। সোমবার অসুস্থ বাবার সঙ্গে ইডি দপ্তরে আসেন লালুর মেয়ে মিসা ভারতী। পরে তিনি বলেন, “এটা নতুন কিছু নয়। যারা তাঁদের সঙ্গে যাচ্ছেন না, তাঁদের কাছেই এই শুভেচ্ছা কার্ড পাঠানো হচ্ছে। যখনই কোনও সংস্থা আমাদের পরিবারকে ফোন করে, আমরা তাঁদের সহযোগিতা করি এবং সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিই।” মিসা বলেছেন, “সবকিছুই দেশবাসীর সামনে, জনগণ সব দেখছেন।” পাশাপাশি নীতীশের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন, “বাবার কিছু হলে নীতীশ কুমার দায়ী থাকবে।”
[আরও পড়ুন: ৯ বার এড়িয়েছেন তলব, এবার হেমন্ত সোরেনের বাড়িতেই হানা ইডির]
প্রসঙ্গত, বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ ডি’ পদে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। তাতেই নাম জড়িয়েছে লালুর। অভিযোগ, ওই ঘটনা লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন হয়েছিল। সরকারি চাকরির বিনিময়ে জমি পেয়েছিল লালুর পরিবারের সদস্য এবং একে ইনফোসিস্টেমস নামের একটি সংস্থা। ওই সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে লালুর পরিবারের সদস্যদের, দাবি ইডির।