সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনকাউন্টারে সন্ত্রাসবাদীদের খতম করাই দস্তুর। সেটাই করে সেনা। কদাচিৎ কাউকে সেনা গ্রেপ্তার করে ঠিকই। কিন্তু জওয়ানরা জঙ্গিদের প্রাণে বাঁচিয়েছে, এমন খবর কোনও জঙ্গির মুখে শোনা যায় না। কিন্তু এই মিথ এবার ভাঙল। খবর, এক জঙ্গি স্বীকার করেছে, তাকে প্রাণদান করেছে ভারতীয় সেনা।
গত ৩০ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলা জেলায় তল্লাশি চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সঙ্গে ছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশও। তখনই এক লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার নাম আইজাজ গুজরি। পুলিশ হেফাজতে সে একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিওতে এই বক্তব্য রাখে। সেখানেই সে অন্য জঙ্গিদের একটি মেসেজ দেয়। যারা বিপথে চালিত হযেছে, তাদের উদ্দেশ্যেই তার এই মেসেজ বলে জানিয়েছে আইজাজ। মেসেজে সে ওই যুবকদের বাড়িতে ফেরারও আহ্বান জানিয়েছে।
[ ISIS-এ যোগ দিতে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি! অসমে ৬ কর্মী গ্রেপ্তার ]
গুজরি বলেছে, জঙ্গিরা প্রথমে সেনার উপর গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু সেনা প্রথমেই পালটা গুলি চালায়নি। “আমি কাছের একটি ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ছিলাম। সেখানেই সেনা আমাকে ধরে। ওরা চাইলে আমাকে মেরে ফেলতে পারত। কিন্তু ফেলেনি। তার পরিবর্তে আমার প্রাণ বাঁচিয়েছে। যেদিন আমি গ্রেপ্তার হই, সেদিন আমাকে উপত্যকায় হিংসা ছড়াতে বলা হয়েছিল। পাকিস্তানের তরফ থেকেই এই নির্দেশ এসেছিল। আমাদের বলা হয়েছিল সেনা নৃশংস হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই খবর সত্যি ছিল না। এটি ছিল পাকিস্তানের একটি ষড়যন্ত্র।” এর পরই সেই জঙ্গি বলেছে, “ওরা জঙ্গলে থাকে। আমি ওদের কাছে আবেদন করছি, ওরা যেন নিজের বাবা মায়ের কাছে ফিরে আসে।”
[ একটি বংশের জন্যই সংরক্ষিত প্রধানমন্ত্রী পদ, কংগ্রেসকে তোপ মোদির ]
জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলা থেকে চারজন জঙ্গি ও সাতজন ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কাসকে (OGWs) গ্রেপ্তার করে ভারতীয় সেনা। উত্তর কাশ্মীরের ওল্ড টাউন বারামুলা ও সোপোর জেলায় চলেছিল তল্লাশি। ওই চার সন্ত্রাসবাদী তিন যুবককে খুন করেছিল বলে খবর। তাঁদের নাম আসিফ আমিদ শেখ, হাসিব আহমেদ খান ও মহম্মদ অসগর। তিনজনেই বারামুলার কক্কর হামামের বাসিন্দা। ৩০ এপ্রিল তাদের দেহ খুঁজে পাওয়া যায় বারামুলার খানপোড়া এলাকা থেকে। পুলিশ জানিয়েছিল, এই ঘটনার সঙ্গে যোগ রয়েছে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিদের।