সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২৯ অক্টোবর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছেন লিয়েন্ডার পেজ। তুলে নিয়েছেন তৃণমূলের পতাকা। আর এবার কিংবদন্তি টেনিসতারকা জানিয়ে দিলেন তিনি ভোটে লড়তে আগ্রহী। তবে কি গোয়ায় আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে লিয়েন্ডারকেই মুখ করে এগোতে চাইছে ঘাসফুল শিবির? তাঁর মন্তব্যের পরই উসকে গেল জল্পনা।
সোমবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে অলিম্পিক পদক জয়ী লিয়েন্ডার (Leander Paes) জানান, তিনি কেবল গাড়ি বদলেছেন, তবে এখনও ভারতের জন্যই খেলবেন। তাঁর কথায়, “আমার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। উনি সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। আমি নির্বাচনে লড়তে আগ্রহী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই হবে।” তবে আপাতত গোয়া রাজনীতি আরও ভালভাবে বুঝতে চান তিনি।
[আরও পড়ুন: খারিজ কলকাতা হাই কোর্টের রায়, দীপাবলিতে সব বাজি নিষিদ্ধ নয়, ঘোষণা শীর্ষ আদালতের]
বাংলা জয়ের পর এই মুহূর্তে তৃণমূলের পাখির চোখ গোয়া। ৪০টি আসনেই লড়তে পারে তৃণমূল। বাংলার মতো গোয়াও ক্রীড়াপ্রেমী রাজ্য। সম্ভবত সেকারণেই রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি গোয়ার ক্রীড়া তারকাদের টার্গেট করেছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন একাধিক ফুটবলার। গোয়ার সাংস্কৃতিক মহলের অনেকেই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আর গত বৃহস্পতিবার মমতার হাত ধরে এমন দুই মহাতারকা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন, যাঁরা গোয়ার রাজনৈতিক অঙ্ক বদলে দিতে পারেন। লিয়েন্ডারকে দলে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো বলেছিলেন, “লিয়েন্ডার আমার ছোট ভাইয়ের মতো। আমি ওকে যুবকল্যাণ মন্ত্রী থাকার সময় থেকে চিনি। ও তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আমি খুবই খুশি।” আর এবার ভোটের লড়াইয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে গোয়ায় ‘খেলা’ জমিয়ে দিলেন লিয়েন্ডার।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। যদিও সেসব নিয়ে চিন্তিত নন লি। বলে দেন, “হার-জিত খেলার অঙ্গ। পরিশ্রম, আত্মত্যাগ আর সততাই বড় ব্য়াপার। আমি ফিরে এসেছি। গোয়ায় অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আবার ভারতের জন্য খেলব।”