সোমনাথ রায় ও প্রণব সরকার: বাংলার পথ ধরে ত্রিপুরায় বাম-কংগ্রেস জোট হচ্ছেই! জল্পনায় কার্যত শিলমোহর দিয়ে দিলেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury)। বুধবার আগরতলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইয়েচুরি রাজ্যে বিজেপি বিরোধী জোটের ইঙ্গিত দেন। সেই সঙ্গে তিনি বুঝিয়ে দেন ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যোত মাণিক্য দেববর্মার (Pradyot Bikram Manikya Deb Barma) দল তিপ্রা মোথার সঙ্গেও কথা চলছে তাঁদের।
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সাথে সিপিএমের জোট ব্যর্থ হয়েছে। সেটা স্বীকার করে নিয়েও এদিন সিপিএমের (CPIM) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ব্যর্থ হলেও ত্রিপুরায় এই জোট ব্যর্থ হবে না।’ ত্রিপুরায় বাম এবং কংগ্রেসের আসন সমঝোতা যে হচ্ছে, সেটা অবশ্য আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস এবং সিপিএম ইতিমধ্যেই যৌথ আবেদনপত্র প্রচার করেছে। ইয়েচুরির সাফ কথা, “আমাদের প্রথম লক্ষ্য বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করা। তাই ত্রিপুরায় বিজেপিকে (BJP) হারাতে যা যা দরকার তা আমরা করব।”
[আরও পড়ুন: যোশিমঠের পর এবার আলিগড়! বহু বাড়িতে ফাটল ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক]
সিপিএম এবং কংগ্রেস (Congress) দুই শিবিরের তরফেই জোট নিয়ে বার্তা দেওয়া হচ্ছিল। নির্বাচনী সমঝোতা ও প্রার্থী বাছাই নিয়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটির দু’দিনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সেই জোট জল্পনায় শিলমোহর পড়েছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি ও প্রকাশ কারাট। এছাড়াও ছিলেন পলিটব্যুরো সদস্য মাণিক সরকার। ২ দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট হতে হবে। মাণিক সরকারও একই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, বামফ্রন্টের মধ্যে জোট রয়েছে। বাকি কোন ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি যদি জোট করতে চায় তাহলে আলোচনা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: জম্মু ও কাশ্মীরে খাদে পড়ল ভারতীয় সেনার গাড়ি, মৃত্যু আধিকারিক-সহ তিন জওয়ান]
কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ (Sudpi Roy Burmon), সভাপতি বীরজিত সিনহাও সিপিএমের পক্ষে জোটের সাওয়াল করে চলেছেন। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের স্ক্রুটিনি কমিটির চেয়ারম্যান দীপা দাসমুন্সীও (Deepa Dashmunsi) বামেদের সাথে জোটের পক্ষেই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তবে দুই শিবিরের আসন সমঝোতা এখনও হয়নি। ইয়েচুরি এদিন জানিয়েছেন, “আসন রফা অবশ্যই ভোটের আগে হবে। তবে সেই আসন সংখ্যা কত হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।” আসলে সিপিএম এবং কংগ্রেস দুই শিবিরই চেষ্টা করছে প্রদ্যোত মাণিক্য দেববর্মার তিপ্রা মোথাকে জোটে টানতে। সেটা সম্ভব হলেই সরকারিভাবে জোট ঘোষণা হয়ে যাবে।