সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পগুলির সুবিধা জনতার দরবারে পৌঁছে দিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) উদ্যোগ অনন্য। তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘দুয়ারে সরকার’, ‘দিদির দূত’, ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’-এর মতো কর্মসূচি নিয়ে গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন দলের প্রতিনিধিরা। সাফল্যও মিলছে। এবার সে পথেই হাঁটতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুবিধা বোঝাতে একেবারে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে হবে। তাঁদের বোঝাতে হবে এসবের সুবিধা। অর্থাৎ ঠিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হেঁটেই জনসংযোগকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন মোদি। যার ভার তিনি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের।
মঙ্গলবার থেকে সংসদে বসছে বাজেট অধিবেশন (Budget Session)। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে এটাই দ্বিতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তার আগে দলের মন্ত্রীদের সঙ্গে রবিবার একপ্রস্ত বৈঠক সেরে নেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই তাঁর বার্তা, কেন্দ্রের যা প্রকল্প রয়েছে, সেইসবই জনমুখী। ২০১৪ সাল থেকে অনেক প্রকল্পই হয়েছে। কিন্তু তার কথা অজানা থেকে যাচ্ছে বহু মানুষের কাছে। তাই মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি (Govt Schemes) সম্পর্কে তাঁদের অবগত করতে হবে।
[আরও পড়ুন: শুরু থেকে শেষ, ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার কেন্দ্রীয় ট্যাবলোয় সংশোধনই হল না বাংলা বানান!]
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের কাছে এসব প্রকল্পের কথা পৌঁছে দিতে হবে মন্ত্রীদেরই। সকলেই হয়ত সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) মাধ্যমে এগুলোর কথা জেনে গিয়েছেন। কিন্তু সশরীরে গিয়ে বোঝানোর আলাদা গুরুত্ব আছে। জি ২০ (G20) সম্মেলন আয়োজিত হয়েছে ভারতে। তা এক বড় সাফল্য। তার কথাও তুলে ধরতে হবে। তবেই নিম্নবিত্তরা বুঝতে পারবেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদেরই জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাতেই বাড়বে জনসংযোগ, পুষ্ট হবে ভোট ব্যাংক।
[আরও পড়ুন: বইমেলার উদ্বোধন সেরেই অনুব্রতহীন বীরভূমে মমতা, যাবেন মালদহ ও পূর্ব বর্ধমানে]
আসলে শুধু একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করেই যে জনতার ভোট পাওয়া সম্ভব নয়, তা এতদিন বেশ টের পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। জনসংযোগের মাধ্যমে সেসবের প্রচারই আসল অস্ত্র। বিশেষত বাংলার সরকারি প্রকল্পগুলি যেভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, তাতে সরকারি অফিসার তো বটেই, দলের প্রতিনিধিদেরও কৃতিত্ব রয়েছে, তা বোঝা গিয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরগুলিতে ভিড় দেখে। সম্প্রতি শুরু হওয়া ‘দিদির দূত’রা গ্রামে গ্রামে গিয়ে শুনছেন জনতার অভিযোগের কথা। এই সবই চূড়ান্ত ভালভাবে জনসংযোগের উপায়। রাজনৈতিক মতপার্থক্যের মাঝেও তা অস্বীকার করার উপায় নেই কেন্দ্রের। তাই এ বিষয়ে নাম না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বাংলার কার্যপদ্ধতিই অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।