shono
Advertisement

Breaking News

Lok Sabha 2024

NDA বনাম INDIA লড়াইয়ে 'কালো ঘোড়া' এক নির্দল, বিহারের এই কেন্দ্রের লড়াইয়ে নজর গোটা দেশের

বাহুবলী এই নির্দল প্রার্থী শাসক-বিরোধী জোটের ভোট-যুদ্ধকে ছাপিয়ে গিয়েছেন।
Posted: 02:41 PM Apr 27, 2024Updated: 02:53 PM Apr 27, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন এনডিএ (NDA) জোটকে সরাসরি চ‌্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। তবে বিহারের একটি আসনে একজন নির্দল প্রার্থী সেই শাসক-বিরোধী জোটের ভোট-যুদ্ধকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। সেই আসনটি বিহারের উত্তর-পূর্ব কোনে অবস্থিত পূর্ণিয়া, এবং সেখানকার নির্দল প্রার্থী রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব বিহার-রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে আলোচিত নাম। কোনও কোনও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের মতে, আগামী ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনার দিন ‘কালো ঘোড়া’ হয়ে উঠতে পারেন পাপ্পু যাদব (Pappu Yadav)। শুক্রবার দ্বিতীয় দফায় ভোট ছিল এই পূর্ণিয়াতেও।

Advertisement

কংগ্রেস দপ্তরে পাপ্পু যাদব।

বিহারের রাজনীতিতে ‘বাহুবলী’ পাপ্পু যাদবকে নিয়ে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’তে কংগ্রেস এবং আরজেডির (RJD) মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়। কংগ্রেস পূর্ণিয়া লোকসভা কেন্দ্র পাপ্পুকে ছাড়তে চেয়েছিল, কিন্তু লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি রাজি হয়নি। শেষে কংগ্রেসে থেকেও নির্দল প্রার্থী হিসাবে পূর্ণিয়া থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন পাপ্পু। ওই কেন্দ্রে ভীমা ভারতীকে প্রার্থী করেছেন লালুপ্রসাদ। পূর্ব-মধ্য বিহারের পূর্ণিয়া এবং আশপাশের অঞ্চলের ‘বাহুবলী’ নেতা হিসাবে পরিচিত পাপ্পু যাদব একটা সময় লালুপ্রসাদের আস্থাভাজন ছিলেন। সিপিএম নেতা অজিত সরকারের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হন তিনি, পরে লালুর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন পাপ্পু। পরে আবার আরজেডিতে ফিরেও যান। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে মধেপুরা আসনে আরজেডি প্রার্থী হিসাবে জেডি (ইউ)-র শরদ যাদবকে হারিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৫-য় লালুর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে আরজেডি থেকে বহিষ্কৃত হন। লোকসভা নির্বাচনের মুখে ফের কংগ্রেসে যোগ দেন পাপ্পু যাদব।

[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির ডুবন্ত জাহাজকে কেউ বাঁচাতে পারবে না’, CBI-NSG তল্লাশির পরদিনই তোপ মমতার]

১৯৯০-এর দশকে পূর্ণিয়া আসনে তিনবার প্রতিনিধিত্ব করেছেন, বিশাল ব্যবধানে জিতেছেন, দুবার নির্দল হিসেবে এবং একবার সমাজবাদী পার্টির টিকিটে। এবার কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিয়ে তিনি পূর্ণিয়া আসনটি দাবি করেছিলেন। তবে জোটের আসন ভাগাভাগিতে পূর্ণিয়া আরজেডির ভাগে চলে গেলে হতাশ হতে হয় তাঁকে। ‘রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য লড়াই’ করার ভাষণ সত্ত্বেও, প্রভাবশালী ‘মিত্র’ আরজেডির সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ করার জন্য যাদবের আবেদনে কংগ্রেস নেতৃত্ব সাড়া দেয়নি। ওই পরিস্থিতিতে পাপ্পু যাদব 'নির্দল' হিসাবে তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়ন জমার দিন একটি মোটরসাইকেল মিছিল বের হয়েছিল। তা দেখে এনডিএ তো বটেই, ইন্ডিয়ারও চোখ কপালে উঠেছে।

[আরও পড়ুন: ‘কল্যাণদার জন্যই আমাদের বিয়েটা হয়েছে’, কাঞ্চনকে ‘অপমান’ নিয়ে মুখ খুললেন শ্রীময়ী]

ভাগলপুরে রাহুল গান্ধীর নির্বাচনী সমাবেশে ভারতীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তাঁকে ইন্ডিয়াক প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। সে কারণে পূর্ণিয়া আসনে কংগ্রেসের অবস্থান সম্পর্কে কোনও সন্দেহের অবকাশ থাকতে পারে না।এদিকে, তেজস্বী তাঁর ভোটপ্রচারে বিরোধী পক্ষ এনডিএ-কে আক্রমণের চাইতে পাপ্পু যাদবকেই বেশি আক্রমণ করেছেন। তাঁকে ‘বিজেপির এজেন্ট’ বলে অভিহিত করেছেন। বস্তুত, আরজেডির শীর্ষ নেতারা লড়াইটিকে নিজের প্রতিপত্তির বিষয় করে তুলেছেন। জেডিইউ ছেড়ে আসা ভারতী রূপাউলি বিধানসভা আসনের পাঁচবার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি সেই গঙ্গোটা বর্ণের, জেলায় যাঁদের একটি উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। তা সত্ত্বেও ‘ঘরের ছেলে’ পাপ্পু যাদব জয় নিয়ে আশাবাদী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement