সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক নেস্টলে ইন্ডিয়া। জনপ্রিয় চকোলেট ‘কিটক্যাটে’র (KitKat) মোড়কে জগন্নাথ (Lord Jagannath), বলরাম ও সুভদ্রার ছবি ব্যবহার করায় আপত্তি তুলল নেটিজেনদের একাংশ।তাঁদের অভিযোগ, এতে তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগছে। অবশেষে ‘অনিচ্ছাকৃত’ ভাবে কারও ধর্মীয় বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য ক্ষমা চাইতে হল সংস্থার কর্ণধারকে। শিগগিরি ওই ধরনের বিশেষ ভাবে চিত্রিত প্যাকগুলি বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও কথা দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু কেন বিতর্ক ঘনাল ওই ছবি নিয়ে? নেটিজেনদের দাবি, যেহেতু এটি একটি খাবারের প্যাকেট, তাই খাবার ফুরিয়ে গেলেই তা ফেলে দেওয়া হবে যত্রতত্র। এর ফলে অবমাননা হবে জগন্নাথ দেব ও বাকি দেবদেবীদের। আর সেই কারণেই এই ছবিগুলি ব্যবহার করা উচিত হয়নি নেস্টলের।
[আরও পড়ুন: স্কুলছুটদের ফের স্কুলে ফেরাতে হবে, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাই কোর্টে]
কোনও কোনও নেটিজেন অবশ্য ওই প্যাকেটের গায়ে ওড়িশার সংস্কৃতি এবং জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে দেখে আনন্দিত। কিন্তু তাঁদেরও অনুরোধ, ‘‘একবার ভেবে দেখুন। কেউ ওই চকোলেট বার খেয়ে তারপর প্যাকেটটা যে কোনও জায়গায় ফেলে দেবে। সে ডাস্টবিন হোক কিংবা নর্দমা বা অন্যত্র। আমরা হয়তো মাড়িয়েও চলে যাব। জগন্নাথের পরিবার কি তাতে খুশি হবে?’’
স্বাভাবিক ভাবেই এমন বিতর্কে নড়েচড়ে বসে নেস্টলে কর্তৃপক্ষ। সংস্থার কর্ণধার এজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে জানান, কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল না। গত বছর ওই প্যাকেট প্রথম বাজারে আনা হয়। উদ্দেশ্য ছিল ওড়িশার সংস্কৃতি ‘পট্টচিত্র’কে অনুসরণ করে সেই ডিজাইন প্যাকেটের গায়ে ব্যবহার করা। ওড়িশার সরকারি ট্যুরিজম ওয়েবসাইট থেকেই তাঁরা অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। নেস্টলের দাবি, এর আগেও এই ধরনের নানা প্যাকেট সংস্থার তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। সাধারণত ক্রেতারা সেগুলি সংগ্রহ করে নিজেদের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন।
[আরও পড়ুন: বয়স তো সংখ্যামাত্র! ৯০ বছরের আইনজীবী সারলেন বিয়ে, কনের বয়স মোটে ৪০]
তবে সেই সঙ্গে সংস্থার কর্ণধার এও মেনে নিয়েছেন, কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগে থাকলে তাঁরা একান্তই দুঃখিত। এবং শিগগিরিই বাজার থেকে এই ধরনের প্যাকেটগুলি সরিয়ে নেওয়া হবে।