সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বছর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের (G20 Summit) আসর বসতে চলেছে ভারতে। এই সম্মেলন উপলক্ষ্যে নতুন লোগো প্রকাশ করেছে মোদি সরকার। সম্মেলনের প্রতীক হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে পদ্মফুলের ছবি, যা ভারতের জাতীয় ফুল। সেই সঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী প্রতীকও। এই বিষয়টি ঘিরে তরজায় জড়িয়ে গিয়েছে বিজেপি (BJP) ও কংগ্রেস (Congress)। আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নিজেদের দলের প্রচার করছে বিজেপি, এমনই অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস। পালটা দিয়ে বিজেপির দাবি, দেশের জাতীয় ফুলের অবমাননা করছে বিরোধীরা।
মঙ্গলবার জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের লোগো প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তেরঙ্গায় লেখা রয়েছে জি-২০, একটি পদ্মফুলের উপরে ‘০’ সংখ্যাটি লেখা রয়েছে। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। বিরোধীরা মনে করছেন, এই পদ্মফুলের মাধ্যমে আসলে নিজেদের দলের প্রচার করছে বিজেপি। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইট করে লিখেছেন, “সত্তর বছর আগে কংগ্রেসে পতাকাকে দেশের জাতীয় পতাকা হিসাবে বিবেচনা করার প্রস্তাব ছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু। কিন্তু এখন, জি-২০ সম্মেলনের লোগোতে বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর দল নিজেদের প্রচার করার জন্য কোনও সুযোগ ছাড়ে না।”
[আরও পড়ুন: চন্দ্রগ্রহণের সময় বিরিয়ানি ফিস্ট কেন? হাতাহাতি ওড়িশায়, খাবারে গোবর ছুঁড়ল রক্ষণশীলরা]
এহেন মন্তব্যের পালটা দিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেছেন, “ভগবান জানে কংগ্রেস সবসময়ে কেন সমালোচনা করে। ভারতকে জুড়তে যাত্রা করছে কংগ্রেস, অন্যদিকে দেশের জাতীয় ফুলকে অপমান করছে তারা।” বিজেপি মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেছেন, কংগ্রেস আসলে হিন্দুধর্মের অপমান করছে। পদ্মফুলের সঙ্গে দেবী লক্ষ্মী ও সরস্বতীর নাম জড়িয়ে থাকে। টুইট করে তিনি বলেছেন, “পদ্ম আমাদের জাতীয় ফুল। মা লক্ষ্মীর আসনেও পদ্ম থাকে। আমি জানতে চাই, কংগ্রেস কি জাতীয় ফুলের অপমান করতে চাইছে? প্রসঙ্গত, রাজীব নামের অর্থও পদ্ম। আশা করি সেটা নিয়ে কংগ্রেসের কোনও আপত্তি নেই।”
বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জাতীয় পতাকার রঙেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের লোগো। সেই সঙ্গে পৃথিবী ও পদ্মের মিশেল রাখা হয়েছে। চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেও যে এগিয়ে যাওয়া যায়, তার প্রতীক হিসাবে এই লোগো বানানো হয়েছে। চলতি বছরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আসর বসতে চলেছে। সেখান থেকেই পরবর্তী সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেবে ভারত।