সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগীরাজ্যে যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা পেয়ে খুনের অভিযোগ। পরপর ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে পালিয়ে গেল অভিযুক্তরা। অসহায় অবস্থায় শ্লীলতাহানির 'শিকার' বোন দেখলেন মারা যাচ্ছেন দিদি। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে, উত্তরপ্রদেশের লখনউতে। ঘটনায় দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবতী বিউটিশিয়ানের কাজ করেন। এক বিয়ে বাড়িতে কাজের জন্য ২৬ বছর যুবতীকে ডাকেন সুধাংশু নামের এক যুবক। যুবতী তাঁর বোনকেও সঙ্গে নেন। তাঁদের বিয়েবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিন যুবককে পাঠান সুধাংশু। আকাশ, বিকাশ, আর্দশ নামের তিন যুবক গাড়ি নিয়ে তাঁদেরকে নিয়ে যায়।
বিপত্তি বাঁধে ফিরে আসার সময়! ওই তিন যুবকের সঙ্গেই রাতে ফিরছিলেন যুবতী ও তাঁর বোন। মৃতার বোনের অভিযোগ, চলন্ত গাড়িতেই তাঁর দিদি ও তাঁকে শ্লীলাতাহানি করে তিন যুবক। তাঁর দিদিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তিনজন। নির্যাতিতা বাধা দিতেই, ধারালো অস্ত্রের কোপ এসে পড়ে তাঁর গলায়। মৃতার বোন বলেন, "তিন যুবক চলন্ত গাড়িতে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। দিদি বাধা দিতেই অজয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওর গলায় পরপর কোপ মারে। আমাকেও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।"
মৃতার বোনের আরও অভিযোগ, ধস্তাধস্তির সময় তাঁদের গাড়ির ড্রাইভার নিয়ন্ত্রণ হারান। উলটে যায় গাড়িটি। তাঁরা ভিতরে আটকা পড়েন। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরা রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা বিউটিশিয়ান যুবতীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই গোলযোগের মাঝে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন মৃতার বোন। অভিযোগ ওই অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্তরা হুমকি দেয় ঘটনার কথা কাউকে জানালে বা পুলিশে অভিযোগ করলে তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলা হবে।
এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার স্বামী। অভিযোগ পাওয়ার পর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিকাশ ও আর্দশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত অজয় এখনও পলাতক। এসিপি বিকাশ পাণ্ডে ঘটনার কথা স্বীকার করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে।
