সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মতি দেওয়ার বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা উচিত। এমনটাই মনে করছে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট (MP High Court)। এমনকী এই মর্মে কেন্দ্রের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন বিচারপতি।
বর্তমানে ভারতে মেয়েদের যৌনতায় সম্মতি দেওয়ার বয়স ১৮ বছর। ছেলেদের ক্ষেত্রেও তাই। ছেলেদের বিয়ের বয়স যদিও ২১। তবে মোটামুটিভাবে ১৮ বছরের কম বয়সিদের প্রাপ্তবয়স্ক বলে ধরা হয় না। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট মনে করছে এর ফলে ছেলেদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। মেয়েদের যৌনতায় সম্মতির বয়স কমানো উচিত।
[আরও পড়ুন: শুরুতেই সমস্যা, কলকাতা লিগে পিছোতে পারে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ!]
একটি মামলার শুনানিতে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি দীপক কুমার আগরওয়াল (Deepak Kumar Agarwal) বলেছেন, আধুনিক সমাজজীবনে ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই কম বয়সে বয়ঃসন্ধিতে পা দিচ্ছে। কম বয়সেই মানসিকভাবে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। ২০১২ সালে আইনের সংশোধন করে শারীরিক সম্পর্কে মেয়েদের সম্মতির বয়স ১৬ থেকে বাড়িয়ে ১৮ করা হয়েছিল। সেটা জটিলতা তৈরি করেছে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, মেয়েরা ১৪ বছরের কাছাকাছি বয়সেই বয়ঃসন্ধিতে পা দেয়। তারা সমবয়সি ছেলেদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। উভয়ের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু আইনের চোখে ১৮ বছরের আগের মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় ছেলেদের প্রতি অবিচার হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ২৭ বছর পর ডুরান্ড কাপে বিদেশি দল, এক গ্রুপে পড়তে পারে দুই প্রধান]
যে মামলায় বিচারপতি ওই পর্যবেক্ষণ করেছেন, সেটা ছিল ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলা। উভয়ের সম্মতিতে প্রায় ৬ মাস নিয়মিত ১৬ বছরের ওই তরুণী এবং ২০ বছরের যুবক শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। ওই তরুণী অন্ত্বসত্ত্বা হয়ে পড়লে ধর্ষণের মামলা রুজু হয়। প্রায় ৩ বছর বিচার চলার পর অভিযুক্তকে জামিন দিলেন বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য, ওই যুবকের উদ্দেশ্য অসৎ ছিল না। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের কাছে তাঁর অনুরোধ, মেয়েদের যৌনতায় সম্মতির বয়স কমিয়ে ১৬ করা হোক।