সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষকের নৃশংসতার শিকার নাবালক পড়ুয়া! অভিযোগ, কথা না শোনার 'অপরাধে' প্রথমে বেধড়ক মার। এর পর গরম লোহার ছ্যাঁকা দেওয়া হল পড়ুয়াকে। তার পরও রেহাই মেলেনি ওই ছাত্রের, তার গোপনাঙ্গে ছেটানো হল লঙ্কার গুঁড়ো। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে কেরলের মলপ্পুরম জেলার তনুরের এক মাদ্রাসায়। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম উমর আশরফি। ভয়ংকর এই নির্যাতন চালানোর পর এলাকা থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। পড়ুয়ার পরিবার এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সেই খবর পেয়ে প্রথমে কর্নাটক, এর পর সেখান থেকে চলে যায় তামিলনাড়ু। এই দুই রাজ্যের নানা জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে কিছুদিন কাটায়। এর পর পুলিশের কাছে খবর আসে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর থেকে নিজের বাড়িতে আসছে অভিযুক্ত। সেইমতো পুলিশের একটি টিম অভিযুক্তের আসার পথে তনুরে অপেক্ষা করে।
আসার পথে রাস্তায় পুলিশ দেখে সতর্ক হয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। যদিও অভিযুক্তকে ধাওয়া করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার অভিযুক্তকে স্থানীয় আদালতে তোলা হলে তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠান বিচারক।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই মল্পপুরম জেলায় স্কুলের ৫ ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল ফয়জল নামে স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ছাত্রীর পরিবার এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ৫২ বছর বয়সি ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্কুল প্রশাসনের তরফে শিশু সুরক্ষা কমিশনকেও গোটা বিষয়টি জানানো হয়।