সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য হরিয়ানার নির্বাচনে জাঠ বনাম অজাঠ সমীকরণে সাফল্য এসেছে। প্রভাবশালী জাঠদের বিরুদ্ধে অজাঠদের একত্রিত করে কংগ্রেসের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে বিজেপি। সেই অঙ্কই মহারাষ্ট্রে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। মারাঠাভূমে এবার ওবিসিদের একত্রিত করার ছক বিজেপির। যে কারণে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহারাষ্ট্রে গিয়ে 'ওবিসি' তাস খেলে দিলেন। কংগ্রেসের জাত গণনার পালটা দিতে গিয়ে মোদি বলে গেলেন, "গত ১০ বছর একজন ওবিসি প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাচ্ছে, সেটা ওরা সহ্য করতে পারছে না।"
শনিবার মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ে এক জনসভায় মোদি বলেন, "গত ১০ বছর ধরে একজন ওবিসি প্রধানমন্ত্রী দেশ চালাচ্ছেন। যিনি সমাজের সব শ্রেণির উন্নতির লক্ষ্যে অটল। আর সেটাই কংগ্রেস সহ্য করতে পারছে না। সেকারণেই ওবিসিদের আলাদা আলাদা বর্গে ভাগ করার ষড়যন্ত্র করছে।" প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, পাকিস্তানের এজেন্ডায় সাড়া দিয়ে দেশে বিভাজন আনার চেষ্টা করছে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। জনগণ ওদের পাশে না থাকলে সেই উদ্দেশ্য সফল হবে না।
আসলে গত লোকসভা নির্বাচনে জাতগণনার দাবি তুলে মহারাষ্ট্রে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে হাত শিবির। দলিত এবং ওবিসিদের মধ্যে যারা উপেক্ষিত তাঁরা রাহুল গান্ধীর ডাকে সাড়া দিয়ে কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। বিধানসভায় সেটার পুনরাবৃত্তি রুখে দিতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। তাছাড়া, মহারাষ্ট্রে মারাঠা বনাম ওবিসি দ্বন্দ্বও বিজেপির বিপক্ষে গিয়েছিল লোকসভায়। মারাঠারা ওবিসি তালিকা ভুক্ত হওয়ার দাবিতে যে আন্দোলন করে আসছে সরকার তাতে সাড়া না দেওয়ায়, সেই ভোটের বেশিরভাগটাও গিয়েছিল বিরোধী শিবিরে। মারাঠা ভোট এবারও বিরোধী শিবিরে যাওয়ার সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে বিজেপির কৌশল হল যেনতেন প্রকারে দলিত ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ রাখা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে ওবিসি তালিকাভুক্ত। সেটাকেই তিনি নিজের অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহার করতে চাইছেন।
এদিন অবশ্য দুর্নীতি ইস্যুতেও কংগ্রেসকে বিঁধেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী মহারাষ্ট্রের আকোলায় দ্বিতীয় দিনের জনসভায় বলেন, “যেখানে কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়, সেই রাজ্য কংগ্রেস রাজপরিবারের এটিএম হয়ে যায়। আজকাল হিমাচল, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলি কংগ্রেসের রাজপরিবারের এটিএম হয়ে উঠেছে। মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের নামে কর্নাটক ও তেলঙ্গানার সংগ্রহ দ্বিগুণ হয়েছে বলে লোকে বলছে। কর্নাটকের মদের দোকানদারদের কাছ থেকে ৭০০ কোটি টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ। নির্বাচনে জিতলে লুঠপাট কীরকম হবে তা আপনারা কল্পনা করতে পারেন!”