সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের চতুর্থ বৈঠক দিল্লিতে। বৈঠকে তৃণমূলের তরফে যোগ দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য দলের সব শীর্ষ নেতাও উপস্থিত বৈঠক।
কংগ্রেসের (Congress) তরফে উপস্থিত সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধীরা। লালুপ্রসাদ যাদব, শরদ পওয়ার, নীতীশ কুমার সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav), তেজস্বী যাদব, ফারুখ আবদুল্লাহর সকলেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাহুল গান্ধী বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সীতারাম ইয়েচুরির মাঝখানে। এদিনের বৈঠকে বাম এবং তৃণমূলের মধ্যে টানাপোড়েন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
[আরও পড়ুন: ‘স্বামী নির্যাতন করলেও সেটা ধর্ষণ’, পর্যবেক্ষণ গুজরাট হাই কোর্টের]
এদিনের বৈঠকে মূলত আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সেখানেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় কংগ্রেসের ভূমিকা। অন্য আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কতটা উদারতার সঙ্গে আলোচনা করছে, কংগ্রেস কতটা আত্মত্যাগ করতে রাজি, তার উপরই নির্ভর করছে জোটের ভবিষ্যৎ। এদিন বৈঠকের শুরুতেই কংগ্রেসকে চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) কংগ্রেসের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে শুরুতেই সরব হন অখিলেশ যাদব। তাঁর বক্তব্য,”সামান্য কয়েকটা আসন চাইলেও কংগ্রেস সহযোগিতা করেনি। কংগ্রেস সহযোগিতা করলে পাঁচ রাজ্যের ফল অন্যরকম হত।” বস্তুত, এদিন বৈঠকের শুরুতেই পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি নিয়ে সরব হয়েছে অন্য দলগুলি।
[আরও পড়ুন: মোদি-মমতার বৈঠকের দিন বিধায়কদের নিয়ে শুভেন্দুর কর্মসূচিতে ‘নারাজ’ সুকান্ত! প্রকাশ্যে অন্তর্কলহ]
এসবের মধ্যেই আবার মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) জোট নিয়ে অন্য বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আলাদা একটি জাতীয় জোট কমিটি গড়েছেন। যা নমনীয় হওয়ারই বার্তা। ওই কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে প্রাক্তন লোকসভা সাংসদ মুকুল ওয়াসনিককে। রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবং এআইসিসির প্রাক্তন মুখপাত্র মোহন প্রকাশ রয়েছেন।