সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনমাস ধরে উত্তপ্ত মণিপুর(Manipur Violence)। অবশেষে হিংসা থামাতে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংকে চিঠি পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। তাদের স্পষ্ট বার্তা, সেই রাজ্যে যাতে আর কোনও হিংসার ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। মঙ্গলবার গভীর রাতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে এক সপ্তাহ আগে মালদহের বামনগোলায় ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতনের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ২ সপ্তাহের মধ্যে জেলা পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দিতে বলেছে তারা। পাশাপাশি, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকেও লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছে তারা।
মণিপুরে লাগাতার অশান্তি চলছে। সে রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা কমিশনকে জানাতে হবে। পাশাপাশি অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। কত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা সম পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পেয়েছে কিনা তাও বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে কমিশনকে। মণিপুরে হিংসা রুখতে কী কী পদক্ষেপ করেছে সে রাজ্যের সরকার, তাও জানতে চায় মানবাধিকার কমিশন। দ্রুত সেই তথ্য দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় গৃহীত হল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব]
এদিকে মালদহের বামনগোলায় চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বদলে প্রথমে চোর সন্দেহে দুই মহিলাকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় বয়েছে। হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এবার সেই ঘটনায় তড়িঘড়ি রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ২ সপ্তাহের মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট চাইল তারা।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই ভূমিকাকে দ্বিচারিতা বলে কটাতক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, মণিপুরের ঘটনায় ৩ মাস পর রিপোর্ট তলব করল। ওখানে কী ঘটছে তা না দেখে চোখ বন্ধ করে রয়েছে কমিশন। এদিকে বাংলাকে বদনাম করতে মালদহের ঘটনায় রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।”