সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ফের মণিপুরের (Manipur) একাধিক এলাকায় সংঘর্ষের খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, রাজধানী ইম্ফলে (Imphal) উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশকর্মীর। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই পুলিশকর্মী। জানা গিয়েছে, কেইরেনফাবি ও থাংগালাভাইয়ের পুলিশচৌকিতে হামলা চালিয়ে সমস্ত অস্ত্রভাণ্ডার লুট করেছে উত্তেজিত জনতা। হেইংগাং ও সিংজামেই এলাকাতেও অস্ত্র লুটের চেষ্টা হয়, তবে শেষ পর্যন্ত অস্ত্র লুট করতে পারেনি জনতা।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর জেলার একটি পুলিশ চৌকিতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় পাঁচশো জনেরও বেশি মানুষ জড়ো হয় চৌকির কাছে। এএফ রাইফেল, ইনসাস রাইফেলের পাশাপাশি লাইট মেশিন গান, পিস্তল-সহ বহু অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। প্রায় সাড়ে তিনশো রাউন্ড গুলি চালালেও উন্মত্ত জনতাকে আটকাতে পারেনি পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ভয়ংকর গোষ্ঠী সংঘর্ষের দিন ছুটি নিয়েছিলেন! সেই পুলিশকর্তাকে সরাল হরিয়ানা সরকার]
অন্যদিকে, পশ্চিম ইম্ফলের সেনজাম চিরাং এলাকায় মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুলিশবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো শুরু হয়। লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরাই গুলি চালিয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। সেই সময়েই মাথায় গুলি লেগে মৃত্যু হয় ওই পুলিশকর্মীর। আহত হন এক স্থানীয় গ্রামবাসীও। এছাড়াও মণিপুরের একাধিক এলাকায় সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন দুই পুলিশকর্মী। অন্তত ২৫ জন সাধারণ মানুষেরও জখম হওয়ার খবর মিলেছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনার পরে বিবৃতি দিয়েছে মণিপুরের পুলিশ। তাদের তরফে বলা হয়েছে, “গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের অবস্থা খুবই স্পর্শকাতর। একাধিক জায়গায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে উত্তেজিত জনতা। বেশ কয়েকটি জায়গায় গুলি চলারও ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে।”