সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্তান উৎপাদনে অক্ষম স্বামী, যার জেরে ভাসুরের সঙ্গে মিলিত হয়ে সন্তান উৎপাদনে জোর করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করলেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতীর ভাইঝি অ্যালিস। শুধু তাই নয়, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে জোর করছে বাপের বাড়ি থেকে পণের টাকা আনার জন্য। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিকভাবে শোরগোল শুরু হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীরা ১০ ভাইবোন। যার মধ্যে ৬ জন ভাই। এদের মধ্যে নরেশ নামে এক ভাইয়ের কন্যা অ্যালিস। ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর বিশাল সিং নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় অ্যালিসের। তবে অভিযোগ বিয়ের পর থেকে লাগাতার ৫০ লক্ষ টাকা নগদ ও গাজিয়াবাদে একটি ফ্ল্যাট পণ বাবদ চাইছিল শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এই ঘটনায় একাধিকবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। শ্বশুরবাড়ির তরফে দাবি করা হয়, অ্যালিসের পিসি বিএসপির প্রধান। তাঁর প্রচুর টাকা। ফলে ৫০ লক্ষ টাকা জোগাড় করা তাঁদের কাছে কোনও বিষয়ই নয়।
শুধু তাই নয়, থানায় অ্যালিস অভিযোগ জানিয়েছেন, বিয়ের আগে স্টেরয়েড ইনজেকশন নিতেন তাঁর স্বামী। যার জেরে তিনি সন্তান উৎপাদনে অক্ষম। বিষয়টি জানার পর আলাদা থাকা শুরু করেন তাঁরা। এই অবস্থায় শ্বশুরবাড়ির তরফে চাপ দেওয়া হয় ভাসুরের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করে সন্তান উৎপাদনের জন্য। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত ছিল স্বামী বিশাল সিংয়ের। গোটা ঘটনায় স্বামী, শাশুড়ি, ভাসুর-সহ মোট ন'জনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন অ্যালিস। এদের মধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
তবে গুরুতর এই অভিযোগে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে সরব হয়েছেন অ্যালিস। তাঁর দাবি, গত ফেব্রুয়ারি মাসে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। তবে পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালতের নির্দেশ আসার পর এফআইআর দায়ের করা হয়েছে পুলিশের তরফে। স্থানীয় এসপি জ্ঞানঞ্জয় সিং জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।