সংবাদ প্রতিদিন ডিজটাল ডেস্ক: 'যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর।' ভোটার কার্ডে বয়স বিতর্কে নিজের নাম ও ছবি দেওয়া টি-শার্ট গায়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীদের প্রতিবাদে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিহারের মিনতা দেবী। কড়া সুরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীদের উদ্দেশে মিনতার প্রশ্ন, কেন বিনা অনুমতিতে আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে টি-শার্ট বানানো হল? এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে ইন্ডিয়া শিবির।
এই ইস্যুতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ বিরোধী সাংসদকে একহাত নিয়ে মিনতা দেবী বলেন, "সম্প্রতি বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। বিরোধী সাংসদরা আমার কে হন? প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরা তো আমার কেউ নন। তাহলে আমার অনুমতি ছাড়া আমার নাম-ছবি ব্যবহার করে কেন টি-শার্ট পরেছেন ওরা?" গোটা ঘটনায় চরম ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, এরা যেহেতু আমার পরিচিত কেউ নন। তাহলে কেন এরা আমার বয়স নিয়ে এত শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে উঠেছেন? কারও অনুমতি না নিয়ে তাঁর নাম ছবি ব্যবহার করে এই সব করা একেবারে উচিৎ নয়।" পাশাপাশি তিনি আরও জানান, "কিছু সমস্যার কারণে এই ভুল হয়েছে তা স্পষ্ট। আমি চাই প্রশাসন এই ভুল শুধরে দিক। এটা নিয়ে আমি কোনও রাজনীতি চাইছি না।"
বিহারের ভোটার তালিকায় ৩৫ বছরের মিনতা দেবীকে 'ঠাকুমা' বানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকায় তাঁর বয়স করা হয়েছে ১২৪ বছর। অর্থাৎ বিশ্বের সবথেকে প্রবীণ ব্যক্তি ১১৫ বছরের ইথেল ক্যাথেরহ্যামের থেকেও ৯ বছরের বড় তিনি। এই ঘটনায় কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মিনতা। তিনি বলেন, "এর আগে বহুবার আবেদন করলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে তালিকায় আমার নাম ওঠেনি। তবে এবার আমার নাম উঠেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমাকে ঠাকুমা বানিয়ে দিয়েছে। আমার জন্মসাল ১৯৯০। সমস্ত নথিতে তাই আছে। কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকায় তা ১৯০০ লেখা হয়েছে।”
বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এই ঘটনা সামনে আসায় ময়দানে নেমে পড়ে বিরোধী শিবির। এসআইআর ইস্যুতে সোমবার কমিশন ঘেরাও কর্মসূচির পর মঙ্গলবারও বিরোধীরা সংসদের বাইরে ধরনায় বসেন। তখনই বিষয়টি নিয়ে সরব হন তাঁরা। ধরনায় নজর কাড়ে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ কংগ্রেস সাংসদদের টি-শার্টে আঁকা মিনতা দেবীর মুখ এবং তাঁর নাম। আর টি-শার্টের পিছনে লেখা ‘১২৪ নট আউট।’ কংগ্রেস জানায়, “বিহারের খসড়া ভোটার তালিকা আসলে জাল ভোটারে ভরা। তারই প্রতিবাদে এই টি-শার্ট।” যদিও সেই টি-শার্টকে কেন্দ্র করেই এবার ভুক্তভোগী মিনতা দেবীর তোপের মুখে পড়লেন বিরোধীরা।
