সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত। প্রায় ৬০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তদের হাসপাতাল থেকে ছাড়ার বিধিতে বদল আনল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। শনিবার নতুন এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
মৃদু, খুব সামান্য এবং উপসর্গ এখনও সেভাবে দেখা যায়নি এমন রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে নয়া গাইডলাইন জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তাঁদের প্রতিদিন তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। এছাড়াও তার অক্সিজেনের মাত্রাও পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ১০ দিন পরই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে সেই রোগীকে। তবে পরপর তিনদিন ওই রোগীর জ্বর আসছে কি না, তা খেয়াল রাখতে হবে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওই রোগীকে সাতদিন বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে হবে।
যে রোগী তিন দিনেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন এবং অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশ, তাঁদেরটি ‘মডারেট কেস’ হিসাবে গণ্য। তাঁদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। নয়া গাইডলাইন অনুযায়ী এখন আর তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছাড়ার আগে পরীক্ষা করার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
[আরও পড়ুন: করোনার মার, আর্থিক ধাক্কা সামলাতে ১২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নেবে কেন্দ্র]
অত্যন্ত সংকটজনক করোনা রোগী এবং যদি তাঁর অন্য কোনও রোগ থাকে সেক্ষেত্রে এতদিন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার আগে দু’বার পরীক্ষা করা হত। দু’টি রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছিল রোগীদের। তবে এখন আর তার প্রয়োজনীয়তা নেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, একবার পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ হলে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে রোগীকে। যে সমস্ত রোগীর জ্বর পরপর তিনদিন আসছে এবং অক্সিজেনের মাত্রাও ঠিক নয়, তাঁদের ক্ষেত্রে জ্বর কমা এবং অক্সিজেনের মাত্রা পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনও রোগীকে ছাড়া যাবে না।
করোনা আশঙ্কায় কাঁটা গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে সুস্থতার হারও। বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার ২৯.৯ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ভারত? নিশ্চিত করতে সমীক্ষা করবে ICMR]
The post করোনা রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছাড়ার বিধিতে বদল, নয়া গাইডলাইন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের appeared first on Sangbad Pratidin.
