সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সামনে এল মধ্যযুগীয় বর্বরতা। নীতি পুলিশের দাদাগিরির শিকার প্রেমিক-প্রেমিকা। বাইকে করে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন দু’জন। সেই অপরাধেই বসানো হয় সালিশি সভা। তারপরই লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় প্রেমিক-প্রেমিকাকে। বর্বরোচিত ঘটনার সাক্ষী অসমের গুয়াহাটি। যুবক-যুবতীকে মারধরের ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল। দাদাগিরির অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
[বিনা পয়সায় পুলিশকে সবজি দিতে নারাজ, শ্রীঘরে কিশোর]
বর্তমান শতাব্দীতে আধুনিক প্রত্যেকেই। কিন্তু এই যুগেও প্রদীপের তলায় অন্ধকার। আবারও শিরোনামে মধ্যযুগীয় বর্বরতা। এবার ঘটনাস্থল অসমের গুয়াহাটি। অবিবাহিত দুই যুবক-যুবতী বাইকে করে যাচ্ছিলেন৷ প্রায় প্রতিদিন এভাবেই দিনেদুপুরে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় দুজনকে। এই ঘোরাফেরায় নজর পড়ে গ্রামের পুখুরপুর গ্রামের মাতব্বরদের৷ তাদের দাবি, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক, অবিবাহিত যুবক-যুবতীর এভাবে গ্রামের মধ্যে দিয়ে বাইকে করে ঘোরাফেরা দৃষ্টিকটূ৷ মাতব্বরদের কাছে এই ছিল প্রেমিক যুগলের একমাত্র ‘অপরাধ’৷
মাতব্বরদের দাবি, উচিত শিক্ষা দিতে প্রয়োজন শাস্তির৷ কী শাস্তি হবে দুজনের? তা ঠিক করতে গ্রামে বসানো হয় সালিশি সভা৷ ওই সভায় যুবক-যুবতীকে ঘোরাফেরায় বাধা দেওয়া হয়৷ রীতিমতো লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়৷ দ্বিতীয়বার এমন কাজ করলে আরও বড় শাস্তি পেতে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেয় মাতব্বররা৷ আক্রান্ত যুবকের দাদা বলেন, “সালিশি সভার নিদান অনুযায়ী মাতব্বররা দুজনকে বিয়ের পরামর্শ দেয়৷”
আপাতত সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল ওই বর্বরোচিত মারধরের ঘটনা৷ তা দেখেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷ এমন মধ্যযুগীয় নিদানের বিরোধিতা করেছেন প্রত্যেকেই৷
[লঘুপাপে গুরুদণ্ড! আম চুরির অভিযোগে গুলি করে খুন নাবালককে]
যদিও অসম পুলিশের ডিজি বলেন, “এই ঘটনায় নির্যাতিতদের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ তবে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে৷ তদন্তও শুরু করা হয়েছে৷” ইতিমধ্যেই পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩৪২, ৩২৫ ও ৩৫৪ বি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে৷
The post প্রেমিক যুগলের প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা, ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে সালিশি বসিয়ে মার appeared first on Sangbad Pratidin.