সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকার সঙ্গে ভালবাসায় ইতি টেনেছিলেন আগেই। কিন্তু তাঁকেই সহকর্মীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন ব্যাংক কর্মী। আর সেই ঈর্ষার বশেই সহকর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে।
নৃশংস এই ঘটনা মুম্বইয়ের। পুলিশের (Mumbai Police) তরফে জানা গিয়েছে, সন্দেশ পাতিল নামের সহকর্মীকে ইট দিয়ে মাথায় জোড়ালো আঘাত করে খুন করেন অভিযুক্ত চুট্টন সাফি। খুনের পর সন্দেশের দেহ রেললাইনে ফেলে দেন। রেল পুলিশ দেহটি উদ্ধার করলে গোটা ঘটনা সামনে আসে। মঙ্গলবারই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: এগরা কাণ্ডে আদালতে শুভেন্দু, বাজি ব্যবসায়ীর ভাই বাদে সব গ্রামাবাসীকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস]
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সন্দেশ, চুট্টন এবং ওই মহিলা একই ব্যাংকের আলাদা আলাদা শাখায় কাজ করতেন। বিহারের বাসিন্দা চুট্টন ব্যাংকে কাজের সূত্রে গুরগাঁওয়ে থাকতেন। অন্য এক শাখার মহিলা কর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সম্পর্ক পরবর্তীতে ভেঙেও যায়। এরপর সন্দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় ওই মহিলার। যে খবর কানে যায় চুট্টনের। প্রাক্তনকে অন্য কারও সঙ্গে কল্পনা করতে পারেননি তিনি। ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে গত ১৫ মে সন্দেশকে যোগেশ্বরীতে মদ্যপানের আমন্ত্রণ জানান সন্দেশকে। সেখানেই মদ্যপ সন্দেশের মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করেন চুট্টন। লাগাতার আঘাতে মৃত্যুর কোলে ঢোকে পড়েন সন্দেশ। এরপর দেহ নিয়ে গিয়ে রেল লাইনে ফেলে দেন।
ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় চুট্টনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে জেরা করছে পুলিশ। অন্যদিকে, সন্দেহকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন পরিজনরা।