সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাণিজ্য নগরিতে ফের ২৬/১১-র ধাঁচে হামলা হবে। পাকিস্তানের (Pakistan) একটি নম্বর থেকে এমনই হুমকি পেল মুম্বই (Mumbai) পুলিশ! শনিবার মুম্বই পুলিশের ট্রাফিক কন্ট্রোলের তরফে এই হুমকির বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে (WhatsApp Message) পাঠানো হয়েছে সন্ত্রাসবাদী হামলার (Terrorist Attack) হুমকি। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। শহরে জারি হয়েছে সতর্কতা।
একটি সূত্রের দাবি, যে নম্বর থেকে হোটাসঅ্যাপে নাশকতার হুমকি দেওয়া হয়েছে সেটি পাকিস্তানেরই। যদিও অন্য একটি সূত্রের দাবি, নম্বরটি প্রতিবেশী কোনও দেশের। পাকিস্তানের কিনা নিশ্চিত নয়। ওই মেসেজে বলা হয়েছে, ২৬/১১-এর ধাঁচেই মুম্বইতে হামলা হবে। বিস্ফোরণ ঘটানো হবে শহরে। মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হোটাসঅ্যাপে মেসেজে মু্ম্বইয়ে হামলার হুমকির পাশাপাশি বলা হয়েছে, উদয়পুরের দরজির মুণ্ডচ্ছেদের মতো ঘটনাও হবে সৈকত শহরে। এই মেসেজ পাওয়ার পরেই সতর্কতা জারি হয়েছে মুম্বই জুড়ে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: অর্থের বিনিময়ে কেজরিওয়ালের প্রশংসা নিউ ইয়র্ক টাইমসের, অভিযোগ বিজেপির, পালটা দিল সংবাদপত্র]
বৃহস্পতিবারই মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রায়গড় সমুদ্রসৈকতে দু’টি নৌকা থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার হয়। ওই ঘটনার পরে এমন হুমকি মেসেজে মুম্বইবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য, রায়গড়ের হরিহরেশ্বর ঘাটে একটি অস্ত্র বোঝাই নৌকো (Boat Carrying Arms) ভেসে আসে। সেখান থেকে তিনটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নৌকোতে ছিল প্রচুর কার্তুজ। অন্যদিকে ভারাদখোল এলাকাতে একটি লাইফবোট ভেসে আসে। দু’জায়গাতে নৌকোর সঙ্গে কোনও লোক ছিল না। উপকূল রক্ষা বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
[আরও পড়ুন: মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও ধসে বিপর্যস্ত হিমাচল, মৃত্যু কমপক্ষে ৬ জনের]
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাক সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় কেঁপে উঠেছিল বাণিজ্যনগরী মুম্বই। ১০ জন লস্কর জঙ্গি করাচি থেকে সমুদ্রপথে মুম্বইয়ে প্রবেশ করেছিল। ওই জঙ্গিরা তাজ হোটেল, হাসপাতাল, রেল স্টেশন, রেঁস্তরায় হামলা চালায়। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হয় অধিকাংশ জঙ্গির। জীবিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয় আজমল কাসব নামের এক জঙ্গিকে। বেশ কয়েক বছর পরে দোষী সাব্যস্ত কাসবকে ফাঁসি দেওয়া হয়।