সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই জিততে পারলেন না মুম্বইয়ের নির্যাতিতা। শনিবার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। টেম্পোর ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল তাঁর দেহ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়েছিল মহিলার উপর। তাঁর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার ভোরে মুম্বই পুলিশের (Mumbai Police ) কাছে একটি ফোন আসে। জানানো হয়, সাকিনাকার খ্যায়রানি এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক মহিলা পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে কাছাকাছি টহলরত পুলিশের একটি দলকে সেখানে পাঠানো হয়। দেখা যায়, টেম্পোর ভিতরে মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় রাজাওয়াড়ি হাসপাতালে। জানা যায়, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৪ বছরের মহিলা। তাঁর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: দেশে একদিনে করোনামুক্ত ৩২ হাজারের বেশি, তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে টিকাকরণে জোর কেন্দ্রর]
প্রায় ৩৩ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন নির্যাতিতা। চিকিৎসকরাও তাঁকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। জীবন যুদ্ধে হার মানেন মুম্বইয়ের ‘নির্ভয়া’। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। শুক্রবারের এই ঘটনা ২০১২ সালে অনেককেই দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। রাজধানী বুকে নির্মম গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন নির্ভয়া (Nirbhaya)। অভিযোগ, ধর্ষণের পর ২৩ বছরের তরুণীর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তেরো দিন বাঁচার জন্য আপ্রাণ লড়াই করে শেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনেছিলেন নির্ভয়া। মুম্বইয়ের নির্যাতিতার ক্ষেত্রেও প্রায় তেমনটাই ঘটেছে।
সাকিনাকার এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোহন চৌহান নামের ৪৫ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, এই ঘটনায় আরও একাধিক দুষ্কৃতী জড়িত থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই ধৃতকে একপ্রস্থ জেরা করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে।