সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাব পাস হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায়। এই ইস্যুতেই এবার বিরোধী শিবিরকে নিশানায় নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কড়া সুরে প্রধানমন্ত্রী জানালেন, ফের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার মহারাষ্ট্রের ঢুলেতে নির্বাচনী জনসভায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় চলতে থাকা ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''জম্মু-কাশ্মীরে আবার সরকার গড়ার সুযোগ পেয়েই নিজেদের স্বরূপ দেখাতে শুরু করেছে কংগ্রেস-এনসি। উপত্যকার মানুষতে প্রতারিত করতে চায় তাঁরা। কিন্তু গোটা দেশ তাঁদের এই ষড়যন্ত্রের কথা বুঝে গেছে।'' পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন ছোড়েন, বিধানসভা কক্ষের মধ্যে ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরুদ্ধে ব্যানার-পোস্টার দেখানো হচ্ছে। মানুষ কি এসব মেনে নেবে?
একই সুরে বিরোধী শিবিরকে নিশানায় নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, 'জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় যা হয়েছে তা দেখে গোটা দেশ লজ্জিত। কিন্তু চিন্তা করবেন না, বিরোধীদের চার প্রজন্মও ৩৭০ ধারা ফেরাতে পারবে না জম্মু-কাশ্মীরে। বিজেপি সরকার তা আর ফেরত আসতে দেবে না।' উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বিলোপের ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গঠনের পর বিধানসভায় এই ইস্যু নতুন করে অশান্তির আবহ তৈরি করেছে।
৩৭০ ইস্যুতে গত তিনদিন ধরেই তুলকালাম পরিস্থিতি জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায়। বুধবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির ন্যশানাল কনফারেন্স সরকারের তরফে ৩৭০ ধারা ফেরানোর দাবিতে বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাশ করানো হয়। উপত্যকায় বিশেষ মর্যাদা ফেরানো নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু হোক। এই মর্মে প্রস্তাব পাশ করায় ওমর আবদুল্লার সরকার। বৃহস্পতিবার কাশ্মীর বিধানসভায় ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির প্রতিবাদে একটি ব্যানার নিয়ে হাজির হন বারামুলার সাংসদ তথা আওয়ামি ইত্তিহাদ পার্টির প্রধান ইঞ্জিনিয়ার রশিদের ভাই খুরশিদ আহমেদ শেখ। ওই ব্যানারে দুটি দাবি লেখা ছিল। ৩৭০ ধারা পুনর্বহাল করতে হবে এবং রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে খুরশিদ আহমেদ শেখের ওই ব্যানার প্রদর্শনে আপত্তি জানায় বিজেপি। সেই নিয়ে বৃহস্পতিবারই রীতিমতো হাতাহাতি হয় কাশ্মীর বিধানসভায়। শেষমেশ স্পিকার আব্দুল রহিম অধিবেশন মূলতুবি করে দেন। শুক্রবার সকালে বিধানসভা অধিবেশন শুরু হতেই ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই ইস্যুতেই এবার সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।