shono
Advertisement
Supreme Court

হাসপাতালের নিরাপত্তায় আলাদা আইন প্রয়োজন নেই, কেন্দ্রের সুরেই জানাল NTF, কী যুক্তি?

তবে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বেশ কয়েকদফা প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় টাস্ক ফোর্স। তা পাঠানো হবে রাজ্যের মুখ্যসচিবদের কাছে।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 08:03 PM Nov 08, 2024Updated: 11:20 PM Nov 08, 2024

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আর জি কর আবহে দেশের সমস্ত হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি হয়েছিল জাতীয় টাস্ক ফোর্স। নিরাপত্তার স্বার্থে নতুন করে আইন প্রণয়নের দাবি ছিল আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। আর সেই আইনের খসড়া তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নবগঠিত টাস্ক ফোর্সকে। কিন্তু এই মামলায় শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় জাতীয় টাস্ক ফোর্স বা NTF-এর বক্তব্য, হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজন নেই আলাদা কেন্দ্রীয় আইনের। কারণ, তাঁদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের শাস্তির যাবতীয় সংস্থান রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায়।

Advertisement

হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী জুনিয়র চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা তোলপাড়ে ফেলেছে গোটা দেশে। ঘটনার সুবিচারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রায় ১১ দিন ধরে কর্মবিরতি করেছে। তাঁদের অন্যতম দাবিই ছিল, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আলাদা কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়ন। কিন্তু সূত্রের খবর, NTF-এর কাজের অগ্রগতি এবং প্রস্তাব সংক্রান্ত যে হলফনামা সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে, তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আলাদা কোনও আইনের দরকার নেই।

তবে হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়াতে NTF-এর তরফে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম -

হাসপাতালের এমার্জেন্সি রুমে ২৪ ঘন্টা একজন সিনিয়র ডাক্তারকে উপস্থিত থাকতে হবে। বর্তমানে রাতে এমার্জেন্সি রুমের দায়িত্ব সামলান জুনিয়র ডাক্তাররাই।

হাসপাতালে ব্যবহৃত সব গাড়িতে GPS চালু করতে হবে। রাতে কর্তব্যরত সব চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার দায়িত্ব নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

হাসপাতালের সর্বত্র, বিশেষত বেসমেন্ট এলাকায়, নিরবিচ্ছিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক সুনিশ্চিত করতে হবে।

প্রত্যেক হাসপাতালে নিরাপদ সীমানা প্রাচীর থাকতে হবে।

হাসপাতালে হকার, ভেন্ডরদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

মহিলা চিকিৎসকদের সুরক্ষাতেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে জাতীয় টাস্ক ফোর্সের। যেমন -

  • কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা রুখতে আভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি গঠন করতে হবে।
  • যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানাতে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে গঠিত অনলাইন পোর্টাল She-Box ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • প্রত্যেক হাসপাতলে সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম এবং কুইক রেসপন্স টিম রাখতে হবে।
  • হাসপাতালে এমারজেন্সি রুম, লেবার রুম, ICU, অপারেশন থিয়েটারের মত সংবেদনশীল চত্বরে মনোবিদ এবং সমাজকর্মীদের নিয়ে Grief Counselling Room গঠন করতে হবে।
  • প্রত্যেক হাসপাতালে Internal incident reporting system তৈরি করতে হবে। যে কোনও ঘটনার দ্রুত পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ করাই হবে লক্ষ্য।
  • এছাড়া সারা বছরের ঘটনা এবং তার প্রেক্ষিতে নেওয়া পদক্ষেপের বার্ষিক রিপোর্ট তৈরি করতে হবে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে।

বৃহস্পতিবার আর জি কর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, NTF-এর এসব প্রস্তাব সব রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে পাঠাতে হবে। তিনি এসব প্রস্তাব খতিয়ে দেখে তিন সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের মতামত রাজ্যে স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের মাধ্যমে NTF-কে জানাবেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজন নেই আলাদা কেন্দ্রীয় আইনের।
  • তাঁদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের শাস্তির যাবতীয় সংস্থান রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায়।
  • সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনই জানিয়েছে জাতীয় টাস্ক ফোর্স।
Advertisement