সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেবেগৌড়ার নাতির প্রজ্জ্বল রেভান্না অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে দক্ষিণের রাজনীতিতে। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসির (Asaduddin Owaisi)। তাঁর দাবি, নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত রেভান্নার এই কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সব জানতেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi)। সব জেনেই তাঁর হয়ে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন।
গত ১৪ এপ্রিল মাইসুরুতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁর সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন হাসান কেন্দ্রের জেডিএস প্রার্থী তথা লোকসভার বিদায়ী সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্না। সেই সভাকে হাতিয়ার করেই মোদির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ওয়েইসি। মিম প্রধান বলেন, "প্রজ্জ্বল রেভান্না অসহায় মহিলাদের যৌন নির্যাতন করতেন। এমন ২ হাজার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সব জেনেও মোদি ওঁর হয়ে ভোট চাইতে গেলেন। যেই ভিডিও প্রকাশ্যে এল ওমনি দেশ ছেড়ে পালালেন রেভান্না।" মোদিকে তোপ দেগে ওয়েইসি আরও বলেন, "উনি নারী শক্তির কথা বলেন। মুসলিমদের ভাই বলেন। কিন্তু আমরা এমন ভাই চাই না।" একইসঙ্গে যোগ করেন, "প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে এজেন্সি, 'র' সব রয়েছে। আপনি জানতেন ওই ব্যক্তি একজন অপরাধী, অমানুষ তারপরও আপনি তাঁর হয়ে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন।"
[আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রাজৌরি কেন্দ্রের ভোটের দিন, ঘোষণা কমিশনের]
সম্প্রতি প্রজ্জ্বলের বেশ কিছু অশ্লীল ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। অভিযোগ ওঠে, তাঁর বাড়ির পরিচারিকাদের টানা তিন বছর ধরে যৌন হেনস্তা করেছেন প্রজ্জ্বল। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই দেবেগৌড়ার নাতির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সরব হয় রাজ্য মহিলা কমিশন। এর পরই গোটা ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। এদিকে তদন্ত শুরু হতেই বেঙ্গালুরু ছেড়ে জার্মানি চলে যান অভিযুক্ত। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাপে জেডিএস। প্রজ্জ্বল রেভান্নাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে দলের তরফে। তবে বিতর্ক কাটছে না কিছুতেই।
[আরও পড়ুন: অন্ধ হতে পারেন! চোখের চিকিৎসায় লন্ডনে রাঘব, জল্পনা ওড়াল আপ]
প্রসঙ্গত, কর্নাটকের শাসক দল কংগ্রেস (Congress)। অন্যদিকে, দেবেগৌড়ার দল জেডিএস অন্যতম বিরোধী। তারা কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির অন্যতম শরিক দলও বটে। কদিন আগেই দক্ষিণের রাজ্যে এসে প্রজ্জ্বলের হয়ে প্রচার করে গিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরেই ফাঁস যৌন কেলেঙ্কারির ভিডিও। এই ঘটনায় জোটের মধ্যেও অসন্তোষ চরমে উঠেছে ওই ভিডিওতে অস্বস্তিতে বিজেপিও।