সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুটা হয়েছিল দিল্লি থেকে, সেই তার ধরেই দেশজুড়ে মাদক ভাণ্ডারের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বিরাট এই মাদকচক্রকে সমূলে উপড়ে ফেলতে শুরু হয়েছে 'অপারেশন সাগর মন্থন'। সেই পথে হেঁটেই এবার 'লর্ড অফ ড্রাগস' হাজি সেলিমের সাম্রাজ্যে হানা দিল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
গত শনিবার গুজরাটের পোর বন্দর থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করে এনসিবি। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে এই বিপুল পরিমাণ মাদক পাঠানো হয়েছে ভারতে। মনে করা হচ্ছে, এই বিপুল পরিমাণ মাদকের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে পাকিস্তানি ড্রাগ মাফিয়া হাজি সেলিমের। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশের পরই হাজি সেলিমকে ধরতে জোরদার অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানিকে।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জ্ঞানেশ্বর সিং বলেন, 'এই হাজি সেলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাদক কারবারিদের মধ্যে অন্যতম। এশিয়া, আফ্রিয়া ও ইউরোপজুড়ে এর জাল বিস্তৃত। এর বিশাল নেটওয়ার্ক চমকে দেওয়ার মতো। বিগত কয়েক বছর ধরে এনসিবি ও পুলিশের নজরে রয়েছে এই ড্রাগ মাফিয়া। এশিয়াতে ভারত-সহ শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও আরও নানা দেশে এর সিন্ডিকেট ছড়িয়ে রয়েছে। আমেরিকা, মালয়েশিয়া, ইরান, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে এই ব্যক্তি। ভারত মহাসাগর থেকে যত মাদকের কারবার চলে তার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হাজি।
২০১৫ সালে ভারতের তদন্তকারীদের কাছে প্রথম প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি। ওই বছর বিপুল পরিমাণ মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয় কেরলের উপকূলে। এর পর গত আড়াই বছরে ৪০ হাজার কোটির মাদক উদ্ধার করে এনসিবি। মাদকের সঙ্গে বহু অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হলেও সেলিমের কারবারে তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। জানা যায়, দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে তার। 'রক্তবীজ' নামে বিশ্বজুড়ে মাদকের কারবার চালায় হাজি সেলিম।