সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১২ দিনে উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠের (Joshimath) ভূমি প্রায় সাড়ে ৫ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে। কার্টোস্যাট-২এস উপগ্রহের তোলা ছবি ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার ফাঁস করার পরেই আতঙ্ক ও বিতর্ক পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। তাই এবার এই সংক্রান্ত কোনও ছবি প্রকাশের ব্যাপারে ইসরোর (ISRO) উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রের চাপেই এমন সিদ্ধান্ত বলে অনুমান।
এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ও সংবাদমাধ্যমেও ইসরোর তরফে কোনও তথ্য শেয়ার করা যেন না হয় বলে রীতিমতো সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। এর পরেই ইসরোর প্রকাশ করা ডুবন্ত যোশীমঠ সংক্রান্ত সব ছবি ওয়েবসাইট থেকে মুছে দিল কেন্দ্রীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (NDMA) নির্দেশিকা জারি পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি যোশীমঠের প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে বাধা দিচ্ছে মোদি সরকার? নিজেদের গাফিলতি ঢাকার চেষ্টা করছে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার?
[আরও পড়ুন: জেলে বসেই গড়করিকে খুনের হুমকি গ্যাংস্টারের, চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের]
এদিকে ভূমিধ্বসের পর বৃষ্টি-তুষারপাতের ধাক্কায় যোশীমঠের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। তার উপর শুক্রবার রাত দুটো নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে উত্তরকাশী। তবে রিখটার স্কেলে এর কম্পনের মাত্রা অবশ্য ছিল ২.৯। তবে এইটুকু কম্পনও যোশীমঠ ও তার আশপাশে বড় বিপদ হয়ে দাড়াতে পারে। এদিকে গ্রাউন্ড সার্ভের রিপোর্ট বলছে, যোশীমঠের একাধিক এলাকা প্রায় ২ ফুট বসে গিয়েছে।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষর দাবি, যোশীমঠের ভূমি বসে যাওয়া নিয়ে ইসরো নিজের মতো ব্যাখ্যা দিয়ে চলেছে। এতে দেশের মানুষ ও ওই এলাকার মানুষের মনে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। গত ১২ জানুয়ারি এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকের পরেই ইসরোর উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তাদের অনুরোধ, যোশীমঠের ভূমির অবস্থা দেখার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট না বেরনো পর্যন্ত ইসরো বা কোনও সংস্থার কেউ যেন তাদের মতামত প্রকাশ না করে।
[আরও পড়ুন: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে CBI হানা! রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ আপের]