সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। এমন আবহে নারী নিরাপত্তা নিয়ে বড় বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi)। শনিবার দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ বছর উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে অন্য়ান্য অতিথিদের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ও। তাঁদের সামনেই মোদির আর্জি, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের দ্রুত বিচারের প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন যে, নারীর প্রতি নৃশংসতা এবং শিশুদের নিরাপত্তা সমাজের জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
মোদিকে বলতে শোনা যায়, ''আজ নারীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার, শিশুদের সুরক্ষা সমাজের জন্য অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। দেশের নারী সুরক্ষায় কড়া আইন রয়েছেই। ২০১৯ সালেই পাশ হয় ফাস্ট ট্র্যাক আদালত আইন। জেলার নজরদারি কমিটিও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু এবার প্রয়োজন সেই কমিটিগুলোকে আরও শক্তিশালী করা এবং নারী সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত মামলার দ্রুত রায়দান।''
[আরও পড়ুন: ‘ভেষজ’ দাঁতের মাজনে মাছের নির্যাস! ফের বিতর্কে রামদেবের পতঞ্জলি]
এরই পাশাপাশি বিচারে বিলম্ব প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ''বিচারে বিলম্ব রুখতে গত এক দশকে নানা স্তরে কাজ হয়েছে। গত ১০ বছরে দেশের ন্যায়বিচার দানের পরিকাঠামোকে মজবুত করতে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গত ২৫ বছরে এই সংক্রান্ত যত খরচ হয়েছে তার ৭৫ শতাংশই ব্যয় হয়েছে এই এক দশকে।''
প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট ধর্ষণ রোধে কঠোর আইন আনার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল, শুক্রবারও তিনি একই দাবিতে ফের চিঠি লেখেন মোদিকে। মমতার দাবি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটছে, সেগুলি রুখতে অবিলম্বে কঠোরতম আইন আনতে হবে। তাঁর প্রস্তাব, দেশের প্রতিটি জায়গায় ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্ট (Fast Track Court) তৈরি করা হোক। তার মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি ত্বরান্বিত হোক। এবার সেই একই সুর শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর মুখেও।