সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু তামিলনাড়ু নয়। দক্ষিণের আরও এক রাজ্যে এবার দ্বিভাষা নীতি চালু হতে চলেছে। কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার ঘোষণা করেছে, সে রাজ্যেও নিজস্ব শিক্ষানীতি চালু হবে। আর তাতে দুটি ভাষা শিক্ষাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। প্রথমটি অবশ্যই কন্নড় বা মাতৃভাষা। দ্বিতীয় ভাষাটির উল্লেখ না থাকলেও আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরাজিতেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। মূলত পড়ুয়ারা যাতে হিন্দি শিক্ষার সুযোগ না পায়, সেটা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২৩ সালে নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ক্ষমতায় এলে জাতীয় শিক্ষানীতির বদলে রাজ্যের নির্দিষ্ট শিক্ষানীতি তৈরি করা হবে। সেই মতো ক্ষমতায় আসার পর সিদ্ধারামাইয়া সরকার একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি সদ্যই রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতে দ্বিভাষা নীতির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ওই নীতি অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা প্রথম ভাষা হিসাবে শুধুই কন্নড় বা নিজের মাতৃভাষা শিখবে। কর্নাটকের সংস্কৃতিরক্ষায় এই দ্বিভাষা নীতির বিশেষ প্রয়োজন বলে দাবি করেছে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার।
ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে দ্বিভাষা নীতি ঘোষণা করছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তামিলনাড়ুতে এই দ্বিভাষা বিশিষ্ট শিক্ষানীতির তৎপরতা শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। সেই লক্ষ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মুরুগেসানের নেতৃত্বে গঠিত হয় ১৪ সদস্যের কমিটি। গত বছরের জুলাই মাসে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করে ওই কমিটি। দিনকয়েক আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে ওই শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছেন স্ট্যালিন। সেই পথ ধরতে চলেছে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারও।
কিন্তু প্রশ্ন হল, তামিল রাজনীতি করা ডিএমকে যেভাবে আঞ্চলিক আবেগ উসকে দিয়ে হিন্দির বিরোধিতা করতে পারে, সেই একই ভাবে হিন্দির বিরোধিতা করাটা কি কংগ্রেসের সাজে? ভুলে গেলে চলবে না কংগ্রেসকে কিন্তু উত্তর ভারতেও রাজনীতিটা করতে হবে। উত্তর ভারতের হিন্দিভাষী এলাকায় যে কর্নাটকের হিন্দি বিরোধিতার বিরূপ প্রভাব পড়বে না সেটা কে বলতে পারে?
