সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের (Kashmir) পুঞ্চে জঙ্গি হানার কবলে পড়ে শহিদ হয়েছেন ৫ জওয়ান। ঘটনার পর একদিন কেটে গেলেও এখনও জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমেই নাশকতা চালানো হয়েছে বলে অনুমান সেনা আধিকারিকদের। এই প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) সঙ্গে কথা বলেছেন সেনাপ্রধান (Indian Army) মনোজ পান্ডে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে দেশের বিরোধী দলগুলি।
বৃহস্পতিবার সেনার একটি ট্রাকে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। পরে সেনার তরফে জানানো হয়, প্রবল বৃষ্টির মধ্যে এলাকা কার্যত ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। সেই সুযোগেই সেনার ট্রাকে গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। সেই কারণেই আগুন ধরে যায় ট্রাকে। পরে তদন্তে জানা যায়, সম্ভবত গ্রেনেড ছোঁড়ার আগে জওয়ানদের দিকে গুলিবৃষ্টি করে জঙ্গিরা। তারপর গ্রেনেড ছোঁড়া হয় ট্রাকে।
[আরও পড়ুন: প্রবীণ সিপিএম নেতা মদন ঘোষ প্রয়াত, শেষশ্রদ্ধায় সেলিম-রবীন দেবরা]
জানা গিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ঘন জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে ছিল অন্তত ৭ জন লস্কর জঙ্গি। সেনা ট্রাক আসার সঙ্গে সঙ্গেই হামলা চালায় তারা। তবে এখনও কাউকে ধরা যায়নি। হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জওয়ানের। তাঁদের মধ্যে চারজন পাঞ্জাব ও একজন উড়িষ্যার বাসিন্দা। গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন এক জওয়ান।
বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার পরেই রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সেনাপ্রধান মনোজ পান্ডে। হামলায় নিহত জওয়ানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে, সেনার উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেনাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, “লোকসভা ভোটের পদধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব, সেনার উপর হামলা, উগ্র জাতীয়তাবোধের তাস খেলার চেষ্টা যেন না হয়। জওয়ানদের প্রাণ নিয়ে যদি রাজনীতি হয়, ধিক্কার।” কংগ্রেসের তরফেও এই হামলার নিন্দা করা হয়েছে।