সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-কানাডা কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব অব্যাহত। এবার ভারত ছেড়ে পালানো খলিস্তানি জঙ্গি এবং গ্যাংস্টারদের তালিকা প্রকাশ করল এনআইএ (NIA)। দিল্লির দাবি, এই জঙ্গিরা কানাডায় (Canada) গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। ভারত সরকার বারবার অনুরোধ করলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ট্রুডো সরকার। এনআইএর তরফে বুধবার এক্স হ্যান্ডলে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ৪৩ জন জঙ্গি ও গ্যাংস্টারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার ওই তালিকা কানাডা সরকারের হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এনআইএ যে তালিকা প্রকাশ করেছে তার মধ্যে রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই, জসদীপ সিং, কালা জাথেরি ওরফে সন্দীপ, বীরেন্দ্র প্রতাপ ওরফে কালা রানা এবং জোগিন্দর সিংহের নাম। দিল্লির দাবি, তালিকায় থাকা ৪৩ জঙ্গি এবং গ্যাংস্টারের অধিকাংশই ভারত থেকে পালিয়ে কানাডায় আশ্রয় নিয়েছে। উল্লেখ্য, গতকালই দিল্লি দাবি করেছিল, খলিস্তানপন্থী জঙ্গিদের সমর্থনকারী ৯টি বিচ্ছিন্নতবাদী সংগঠন রয়েছে কানাডায়। একাধিক অনুরোধের পরেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি ট্রুডো সরকার। অথচ পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুন-সহ একাধিক জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত ওই সংগঠনের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: সংবিধান থেকে উধাও ‘সেকুলার’ ও ‘সোশালিস্ট’, কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস]
ওয়ার্ল্ড শিখ অর্গানাইজেশন (WSO), খলিস্তান টাইগার ফোর্স (KTF), শিখস ফর জাস্টিস (SFJ)-এর মতো বড় জঙ্গি সংগঠনগুলো কানাডার মাটি থেকে পাকিস্তানের নির্দেশে কাজ করে থাকে বলে দাবি ভারতের। দিল্লির আরও দাবি, খলিস্তানি জঙ্গি তথা কানাডিয়ান নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার সঙ্গে ভারতের কোনও সম্পর্ক নেই। আরও বলা হয়েছে, একাধিক কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তা আলোচনায় ‘ওয়ান্টেড’ জঙ্গি এবং গ্যাংস্টারদের ভারতের ফেরানোর বিষয়ে বলা হলেও কানাডা রাজি হয়নি।
[আরও পড়ুন: মেটাতে পারেননি ৩ হাজার টাকা, বাজারের মাঝে ব্যবসায়ীকে বিবস্ত্র করে মারধর! গ্রেপ্তার ২]
প্রসঙ্গত, হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা প্রসঙ্গে খলিস্তানিদের (Khalistan) দাবিতে সায় দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। সেদেশের খলিস্তানিদের অভিযোগে কার্যত সিলমোহর দিয়ে কানাডায় (Canada) নিযুক্ত এক উচ্চপদস্থ ভারতীয় কূটনীতিককে নির্বাসিত করেছে ট্রুডোর মন্ত্রীসভা। সোমবারই ট্রুডো জানিয়েছিলেন, কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের (India) হাত থাকতে পারে বলেই তদন্তকারীদের অনুমান। এর পরেই কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সংঘাত চরমে উঠেছে।